৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণের পর এখনও অধরা ৩ অভিযুক্ত, স্কেচ প্রকাশ করলো পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাপুর (Hapur) জেলায় একটি ৬ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Six Year Old Girl Raped) করা হয়। সেই ঘটনার (UP) পর কেটে গেছে ৪ দিন। এখনও অভিযুক্তদের টিকির সন্ধান পায়নি পুলিশ। এবার তাই ৩ অভিযুক্তকে ধরতে স্কেচ প্রকাশ করলো তাঁরা। জানা গেছে. শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সেই অনুযায়ী অভিযুক্তদের ছবি আঁকা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের গড় মুক্তেশ্বর এলাকায় বাচ্চা মেয়েটি যখন বাড়ির বাইরে খেলছিলো তখনই সেখানে মোটর সাইকেলে করে এসে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার পর যখন শিশুটির বাবা-মা থানায় গিয়ে মেয়ের নিখোঁজ ডায়রি করেন তখন তদন্তে নামে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মেয়েটিকে অচেতন ভাবে তাঁর বাড়ি থেকে দূরে একটি ঝোপের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।বাচ্চা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ মিরাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই শিশুটির একটি অস্ত্রপচার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন যে, তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। “বাচ্চা মেয়েটির দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা করা প্রয়োজন, আমাদের আরও কয়েকটি অস্ত্রপচারও করতে হতে পারে”, বলেন মিরাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার এস কে গর্গ।পুলিশ বলছে, মেয়েটির শারীরিক অবস্থার কারণে এখনও তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। “আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারবো, ৬টিরও বেশি তদন্তকারী দল এবিষয়ে সব জায়গায় তল্লাশি করছে”, বলেন হাপুরের পুলিশ প্রধান সঞ্জীব সুমন।এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জেলা পুলিশ প্রধানের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। ফলে ওই এলাকায় আজ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।৬ বছরের এই শিশুটিকে গণধর্ষণের ক’দিন আগেই দিল্লিতে ১২ বছরের এক কিশোরীর উপরেও যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, শুধু যে ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে তা নয়, অভিযুক্ত কিশোরীর শরীরে কাঁচি দিয়েও নির্যাতন চালিয়েছে। ওই পাশবিক অত্যাচারের ফলে মেয়েটির অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক। তাঁকে এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যে ব্যক্তি তাঁর উপর ওই নির্যাতন চালিয়েছে তাঁকে অবশ্য ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।