৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার-কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: শেষরক্ষা হল না। ৮৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন করলেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (PK Banerjee)। প্রাক্তন এই ফুটবলার ও কোচ বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালেই ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে। কখনও একটু আশার আলো দেখা যাচ্ছিল আবার কখনও গুরুতর অবস্থার সম্মুখিন হতে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব লড়াই শেষ হয়ে গেল। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল তাঁর। তার পর থেকে অবস্থার আর উন্নতি হয়নি। শুক্রবার শেষ হল তাঁর লড়াই। শেষ হল ভারতীয় ফুটবলের একটা যুগের। স্ত্রী দীর্ঘদিন আগেই গত হয়েছেন। দুই কন্যা রয়েছে তাঁর। এতদিন ধরে বার বার তাঁকে দেখতে গিয়েছেন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই তথা তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অনেকেই ঘুরে ফিরে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন।তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল ও তাঁর বাড়ির সামনে ফুটবলার থেকে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়। তাঁর পরিবারের তরফে পিটিআইকে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। টুইট করে জানিয়েছে পিটিআই। হাসপাতাল জানিয়েছে দুপুর ২.০৮ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।গত একমাস ধরে বুকের সংক্রমণে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। কিন্তু তার পর সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফেরেন তিনি। কিন্তু আবার তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সোমবার হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তাররা তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।১৯৬২ এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী ফুটবলারের চিকিৎসায় তৈরি করা হয়েছিল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি প্যানেল। যার মধ্যে ছিলেন পালমোনোলজিস্ট ডাঃ নন্দিনী বিশ্বাস, ইন্টারনাল মেডিসিন এবং ইনটেনসিভ চিকিত্সক ডঃ তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।এ ছাড়া তাঁর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছিলেন ডঃ এলএন ত্রিপাঠী এবং ডঃ সুনন্দন বসুর তত্ত্বাবধানে নিউরোসিয়েন্সের একটি দলও। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে স্বস্তি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সকালেই স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেষ হয়ে গেল ভারতীয় ফুটবলের অনেক স্মৃতি।

