“আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির প্রধান স্তম্ভ ভারত”: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন ভারত সফর (Donald Trump’s India Visit) আসলে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্রের মধ্যে দৃঢ় এবং স্থায়ী সম্পর্কের নিদর্শন, এমনটাই বলল হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প (Melania Trump) ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে আসছেন, এ দেশে এসে আমেদাবাদ, আগ্রা এবং নয়া দিল্লি যাবেন তাঁরা। ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে এদেশে আসছেন মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প (Ivanka Trump) এবং তাঁর স্বামী জারেদ কুশনের সহ ১২ সদস্যের একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল। “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় এবং স্থায়ী সম্পর্কের কারণেই ভারত যাচ্ছেন”, প্রথমবার ট্রাম্পের ভারত সফরের ৪৮ ঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বললেন মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক।ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “এই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অংশীদারিত্ব, সাধারণ কৌশলগত স্বার্থ এবং আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে স্থায়ী বন্ধনের উপর ভিত্তি করেই এই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উদাহরণ এই সফর”।মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ দেশে আমেরিকার উচ্চ পর্যায়ের যে প্রতিনিধি দল আসছে তাতে থাকছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভ মুনুচিন, বাণিজ্য বিষয়ক সচিব উইলবার রস এবং শক্তি তথা জ্বালানি উৎপাদনকারী বিভাগের সচিব ড্যান ব্রাওলেট। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টারও এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারত সফরের সময় যোগ দেবেন।”এই সফর বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রের উপর আলোকপাত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ও জ্বালানি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করব”, বলেন ওই মার্কিন আধিকারিক।তিনি বলেন, পণ্য ও পরিষেবাদি ক্ষেত্রে দ্বি-মুখী বাণিজ্যে ২০১৮ সালে ১৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।”প্রকৃতপক্ষে, ভারত আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রধান স্তম্ভ, এবং বাজারের অর্থনীতি, সুশাসন এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা রেখে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্যে আমরা একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি”, এ কথাও বলেন মার্কিন প্রশাসনের উর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা।