আমফান ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পাল্টা বিরোধীদের দুষলেন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: আমফানের (Cyclone Amphan) পর ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ ও আর্থিক সাহায্য দানের মধ্যেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বারেবারে। এমনকী প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত যাঁরা সরকারের (West Bengal) তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য পাননি তাঁদের অভিযোগ জানানোর জন্যে আলাদা একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মও খুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। এরই মধ্যে এই দুর্নীতি নিয়ে ঘুরিয়ে বিরোধীদেরই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেন যে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই ধরণের দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত ছিল এবং তিনি কিছুতেই বাম-উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এইসব দুর্নীতিগ্রস্তদের রেয়াত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিপিআই (এম) এর শাসনকালে পঞ্চায়েত স্তরে ১০০ ভাগ তহবিলই চুরি হয়ে যেত। আমরা শাসন ক্ষমতায় এসে সেই দুর্নীতির প্রায় ৯০ শতাংশই কমাতে পেরেছি … পুরোপুরি দুর্নীতি হটাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে, তবে মনে রাখবেন আমি কাউকেই রেয়াত করবো না, সে আমার দলের সদস্য হলেও না”।তৃণমূল প্রধানার মতে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লালদুর্গ ভেঙে ঘাসফুলের রাজত্ব গড়ার আগে বাম সরকারের তিন দশকেরও বেশি রাজত্বকালেই দুর্নীতি রাজ্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছিল। বাম আমলে জনগণের টাকা সাফ করাটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন অনেকেই। তাই শিকড় গেঁড়ে থাকা সেই দুর্নীতি হটাতে তাঁর আরও কিছু সময় লাগবে।কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ অনুষ্ঠানে আমফানের ত্রাণ সাহায্য বিতরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদিও তাঁর সরকার দুর্নীতির পরিমাণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, তবুও কিছু জায়গায় এখনও “বামফ্রন্ট মেকানিজম” কাজ করছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলগুলি তহবিলের অপব্যবহার নিয়ে ঘটা কিছু “ছোট ছোট ঘটনাগুলি” নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। “রাজ্যে ৩৪১ টি ব্লক রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো পুরসভা এলাকা ও শহর রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র ৩টি তিনটি জায়গা থেকে কয়েকটি ছোট ছোট ঘটনার খবর পাওয়া গেছে…”, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।বামেদের পাশাপাশি বিরোধী দল বিজেপিকেও বেঁধেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপির হাতে এখন প্রচুর টাকা। সেই অর্থ থেকেই তারা এখন অনেককে পকেট মানি এবং প্যাকেট মানি দিচ্ছে …. তবে আমিও দেখব যে ওরা কত দিন এইসব চালিয়ে যেতে পারে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে এই দলটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং আপনারাও আর এদের (বিজেপির) কাউকে দেখতে পাবেন না।”

