বিধায়কের উদ্যোগে পান্ডবেশ্বরে প্রতি দুমাসে হবে মহিলারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির

জয়ন্ত সাহা খবর ২৪: বিধায়কের উদ্যোগে পান্ডবেশ্বরে প্রতি দুমাসে হবে মহিলারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির………পান্ডবেশ্বরঃ পান্ডবেশ্বরের সমর্পন সেবা ট্রাস্টের উদ্যোগে রবিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও হোলি মিলন উৎসব উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন , আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পান্ডবেশ্বরে এই আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়। আজকের দিনে মহিলাদের প্রতি সম্মান জানানো, তাদের অধিকারের প্রতি সচেতন করা তাদের উপরে হওয়া অত্যাচার থেকে বাঁচানো নিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে এই নিয়ে পান্ডবেশ্বরেও আলোচনা হচ্ছে , তা দেখে ভালো লাগছে। এরজন্য গোটা ট্রাষ্টের সব সদস্যদের ধন্যবাদ। তিনি আরো বলেন, যদি মনের মধ্যে নিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে মহিলাদের ৮০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সবাই মনে মনে ঠিক করে নিন যে, কেউ যেন অন্য মহিলার দুঃখের কারণ না হয়। এটা দেখতে হবে যে, কোন পুরুষ মহিলাদের উপরে শারীরিক অত্যাচার না করতে পারে। সমাজে একটা ভুল ধারণা আছে যে, সেখানে কোথাও না কোথাও কিছুভাবে মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে। পুরুষদের অত্যাচার আটকানোর জন্য আইন আছে। কিন্তু মহিলারা যেন মহিলাদের দুঃখের কারণ না হয়, এটা আপনাদের হাতে আছে। তিনি বলেন, পান্ডবেশ্বরে মহিলারা সংগঠিত হচ্ছে। তারা নিজেদের অধিকারের প্রতি সচেতন হচ্ছেন। এটা আমার কাছে একটা ভালো খবর। এইভাবে আপনারা যদি সমাজ ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে ভাবেন, তাহলে আমার ধারনা যে পান্ডবেশ্বরের স্বপ্ন দেখছি, তা হয়ে যাবে। সবারই নিজের কিছু না কিছু ভাবনা থাকেন।কিন্তু জীবনে মহিলারা সবচেয়ে বেশি সমঝোতা নিজেদের স্বপ্ন নিয়ে করেন। প্রথমে স্বামী ও বাচ্চাদের জন্য নিজেরা স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেয়। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে, পরিবার ভেঙ্গে যাবে, তাই তারা সেটা চায়না। আমি যদি বিধায়ক হিসাবে কিছু করতে পারি, তা সেটা আমার কাছে সৌভাগ্যের কথা হবে। ঘরের মহিলারা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অতটা ভাবেন না। তারা পরিবারের সদস্যদপর প্রতি বেশি খেয়াল রাখেন। যখন নিজেদের চিকিৎসা করার সময় আসে, তখন তারা ভাবে কেন টাকা খরচ করবো। সেই জন্য এই ট্রাষ্টের মাধ্যমে পান্ডবেশ্বরে মহিলাদের প্রতি দুমাস অন্তর শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। তারা সব ব্যবস্থা করবে। ভগবান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে এতটা শক্তি পেয়েছি যে, এখানে মহিলাদের চিকিৎসার ভার নিতে পারবো। দুমাস অন্তর মহিলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। সব ঔষুধ ও পরীক্ষার সব খরচ বিধায়কের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

