Bihar Election Results 2020: দুপুর গড়িয়ে বিকেল, এখনও জোর লড়াই চলছে এনডিএ-মহাজোটের

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: কথায় আছে, Morning Shows The Day…সকাল হতেই ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে উচ্ছ্বসিত ছিল RJD কর্মী সমর্থকদের ভিড়। বিহারের মানুষ মনে করেন মাছ-দই শুভ। তাই ১০ নম্বর সার্কুলার রোড, রাবড়ি আবাসের বাইরে কাটিহার হোক বা দ্বারভাঙ্গা বিহারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। যদিও বেলা গড়াতেই রাজনৈতিক আবহাওয়া বদলাতে শুরু করে দেয় বিহার জুড়ে।আরজেডি অফিস ছেড়ে ভিড় বাড়তে শুরু করে দেয় বিজেপি ও জেডইউ অফিসের সামনে। বিকেল পর্যন্ত যত শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে তার মধ্যে ট্রেন্ডিং-সহ ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে মোদি-নীতীশ জুটি। যদিও দুই শিবির আশাবাদী লড়াইয়ে শেষ অবধি জয় ছিনিয়ে আনবে তারাই।বিজেপি-জেডইউ-এর সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল করোনা ও লকডাউন। করোনা অতিমারী দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম দেশে ভোট হয়েছে। সেই দিক থেকে বিহারের এই ভোট শুধু সে রাজ্যের নয়, সারা দেশের জন্যই রাজনৈতিক কারণে তাৎপর্যপূর্ণ।শুধু নীতীশ কুমার নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা তথা কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ভূমিকাও মাপা হয়েছে এই নির্বাচনে। লকডাউনে কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটে সাহায্য করা, কাজ হারানো অসংগঠিত শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা, ক্ষুদ্র-অতিক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পক্ষেত্রকে বাঁচানো— করোনা কালে এই সব প্রশ্ন সামনে রেখেই কিন্তু ভোট দিয়েছেন বিহারের মানুষ। লোকসভা ভোটে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল এই রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফল ধরে রাখতে পারবে বলে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি।নীতীশের কাছে আবার করোনা সঙ্কটের পাশাপাশি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা-সহ সামগ্রিক সুশাসনের পরীক্ষাও ছিল এই ভোট। গত পাঁচ বছরে তাঁর জমানার হিসেবনিকেশ করেই বিহারবাসী ইভিএমবন্দি করেছেন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার। নীতীশ কুমার অবশ্য ভোটগণনার আগেই রাজনৈতিক ‘সন্ন্যাস’-এর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ ভোট। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল অবধি লড়াই চলেছে টক্করে টক্করে। JDU এর মুখপাত্র সঞ্জয় সিং জানাচ্ছেন, “আর পিছিয়ে যাবার কোনও রাস্তা নেই। মানুষ নিজেদের ভাল বোঝেন। মোদি-নীতীশ টিম গেমেই মানুষ আস্থা রেখেছেন।” যদিও শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান RJD এর মুখপাত্র মনোজ খাজড়ু। তিনি জানাচ্ছেন, “সময় এখনও হাতে অনেক বাকি আছে। শেষ অবধি জয় তারাই ছিনিয়ে আনবেন।” কোভিডের কারণে অত্যন্ত শ্লথ গতিতে চলছে ভোট গণনা।তাই সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করতে হবে এটা জানতে, আগামী পাঁচ বছর বিরোধী আসনে বসে কাটবে, নাকি মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে ফের বসবেন নীতীশ কুমার।