৪৫ বছর পর গুলি চলল লাদাখ সীমান্তে! পাহাড় দখলের মরিয়া চেষ্টা চিনের

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: ফের উত্তপ্ত লাদাখ। ৪৫ বছর পর গুলি চলল ভারতীয় সীমান্তে সোমবার সন্ধেয় বিরাট চিনা বাহিনী রেচিং লা রিজলাইনের মুখপারি চুড়ো অঞ্চলে ভারতীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালালো চিনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে ছিল রড, মুগুর, বর্ষা, গুয়ানদাও নামক বাঁশের মাথায় রড লাগানো এক ধরনের ভয়ানক অস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, গালওয়ানের মতোই বর্বর কোনও হামলার পরিকল্পনা ছিল চিনা বাহিনীর।সোমবার সন্ধে ৬টা। লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে ভারতীয় পোস্ট সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একে একে জমা হতে থাকে চিনা। বিনা প্ররোচনায় আরও একবার এভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রশস্ত্র সমেত সেনা মজুত করার বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করে ভারত। চিনা সেনাদের ফিরে যেতে বলা হয়।যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে চিন, তখনই তারা শূন্যে ১৫ রাউন্ড গুলি চালায়। ১৯৭৫ সালে অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তে শেষবার গুলি চলেছিল। তাতে অসম রাইফেলসের চার জওয়ান শহিদ হন। তারপর ৪৫ বছর সীমান্তে গুলি চলেনি। এমনকি সম্প্রতি গালওয়ান হামলাতেও চিনা বাহিনী গুলি চালায়নি। তারা সে যাত্রায় গুয়ানডো নামক অস্ত্রটির যথেচ্ছ ব্যবহার করেছিল।অতীতে উইঘুর মুসলিম অত্যাচারেও এই অস্ত্র সহায় হয়েছে চিনা বাহিনীর।সূত্রের খবর, ভারতের তরফে প্ররোচনায় পা দিয়ে পাল্টা গুলি চালানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে রেচিং লা রিজলাইনের মুখপারি চুড়োর দখল নিতেই এই পদক্ষেপ চিনের।দিন তিনেক ধরেই এই অঞ্চল দখলের জন্য মরয়া চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। সোমবার ওই এলাকায় তারা কাঁটাতারের বেড়াও নষ্ট করেছে। কিন্তু প্যাংগং লেকের দক্ষিণে মোলডো এলাকার দখল ভারতের হাতে থাকায় খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি।চিনের অবশ্য বক্তব্যভারতের তরফেই নাকি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের চেষ্টা হয়েছে, সে কারণেই গুলি চালায় চিন। বলাই বাহুল্য এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত।গত ২৯ অগাস্ট রাতে প্যাংগং লেক সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা ভারতীয় সেনার দখলে আসে। রেজিং লা, রেচিং লা, ব্ল্যাক টপের মতো জায়গায় ভারতীয় সেনা দখল নিয়ে চিনা সিসিটিভি গুড়িয়ে দেয়। এখান থেকে চিনের গতিবিধি লক্ষ্য করা অনেক সহজ। এই জায়গার পাল্টা দখলদারির জন্যেই চিনের এই আগ্রাসন।প্রসঙ্গত চিন গ্লোবাল টাইমসে যুদ্ধের হুমকিও দিয়ে রেখেছে সোমবার। চিনা মুখপত্র হুমকির ভঙ্গিতে লিখেছে, “খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে চিনা নীতি ভেঙে তোমরা বিপজ্জনক কসরত দেখাচ্ছো।”একদিকে যখন বিদেশমন্ত্রীরা উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টায় রত, তখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উত্তাপ পুড়িয়ে দিচ্ছে যাবতীয় সংহতির সম্ভাবনাকে।