১ অক্টোবর সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া টলিপাড়ায়, তবুও কাটছে না চিন্তার মেঘ

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: অপেক্ষা প্রায় সাত মাসের। আনলক চার-এও কেন্দ্র সিনেমা হল খোলা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। তাই হতাশ হয়ে সিনেমা হল খোলার আর্জি জানিয়েছিল ইম্পা। কেন্দ্রের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য শনিবার রাতে ট্যুইট করে পয়লা অক্টোবর থেকে শর্ত সাপেক্ষে সিনেমা হল খোলার অনুমতি দিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া টলি পাড়ায়। হল মালিক, পরিবেশক থেকে শুরু করে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালকরা স্বাগত জানিয়েছেন এই পদক্ষেপকে। যদিও বাস্তবে কতটা আশাব্যঞ্জক হবে ইন্ডাস্ট্রির জন্য, সে ব্যাপারে সন্দিহান অনেকেই। এসভিএফ-এর কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি জানিয়েছেন ‘! আমরা খুব খুশি। দিদির সিদ্ধান্ত-কে স্বাগত জানাই। এই পদক্ষেপ পরিবেশকদের জন্য স্বস্তির। কিন্তু দেশজুড়ে সিনেমা হল না খুললে নতুন সিনেমা রিলিজ করবে না। ফলে হল চালানো বা নতুন ছবি রিলিজ করা প্রযোজকদের পক্ষেও সম্ভব নয়। অপেক্ষা করছি কেন্দ্রের তরফেও কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হবে । সম্পূর্ণ গাইড লাইন পাওয়ার পরই আমরা হল খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। ‘অজন্তা সিনেমা হলের কর্ণধার ও পরিবেশক শতদীপ সাহা জানিয়েছেন , ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ। ভারতে প্রথম তিনি এরকম উদ্যোগ নিয়েছেন । আমরা খুব খুশি। তবে ৫০ জন না ৫০ শতাংশ সেটা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে আমাদের মধ্যে। ৫০ শতাংশ দর্শক অনুমতি পেলে তো অনেকটা চিন্তা কমে যাবে, তবে তা না হলে কোভিড প্রটোকল, এস ও পি মেনে ৫০ জন দর্শকের জন্য নতুন ছবি কোনও প্রযোজক রিলিজ করবেন কিনা সেটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে আমরা পুরনো সিনেমা দিয়ে আপাতত হল চালু করার ব্যবস্থা করব। কিন্তু আমরা কতটা এভাবে টানতে পারব, সেটা নিয়েও একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। ’’প্রিয়ার কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত আবার ধীরে চলো নীতি তে বিশ্বাসী। কেন্দ্র কোনও নির্দেশিকা দেয় কিনা সেটা না দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেই জানালেন তিনি।পরিচালক – প্রযোজক রাজ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ ইন্ডাস্ট্রির যা কাজ থেমে গিয়েছিল সেটা শুরু হবে এটাই সবচেয়ে ভাল খবর। একদিনে সব স্বাভাবিক হবে না আস্তে আস্তে হবে তবে শুরুটা হওয়া দরকার ছিল। পুজোর মুখে মুখে শুভ সূচনা হচ্ছে , এর থেকে ভালো কিছু হতে পারত না। দিদির প্রতি কৃতজ্ঞ । আমার হাবজি গাবজি আর ধর্মযুদ্ধ মোটামুটি তৈরি হয়ে আছে । সেগুলোর রিলিজ করব কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করব। তবে আমার নিজের ছবি রিলিজ না করলেও আমি অন্য যে কারোর ছবির পাশে থাকব এটুকু বলতে পারি। ’’অশোকা সিনেমা হল-এর মালিক প্রবীর রায় জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তে তারা খুশি। ৫০ জন দর্শক হোক বা ৫০ শতাংশ, এক তারিখ থেকে হল খুলবেন তাঁরা। ব্যাবসায়িক দিক দিয়ে অসুবিধা থাকলেও টিকিটের দাম বাড়ানোর পক্ষপাতী নন তারা। বসুশ্রী সিনেমা হল এর তরফে দেবজীবন বসু জানিয়েছেন তাঁরা পয়লা অক্টোবর হল খুলতে চান। তবে নিজেরাও কিছু নিয়মাবলী তৈরি করে জানিয়ে দিতে চান তার আগেই।পরিচালক অরিন্দম শীলও স্বাগত জানিয়েছেন এই পদক্ষেপকে। তাঁর কাছে বড় পর্দায় সিনেমা দেখার সঙ্গে অন্য কোনও কিছুর তুলনা হয় না । ক্যামেলিয়া এন্টারটেইমেন্ট এর তরফে তাঁর পরিচালিত মায়াকুমারীও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

