করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল নিয়ে আলোচনা চায় না বিজেপি

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪:ভারতে করোনা (Coronavirus) সঙ্কট মোকাবিলায় কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে সরকার বা করোনা ত্রাণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল (PM CARES fund) থেকে কতটাই বা উপকৃত হয়েছে দেশের মানুষ তা নিয়ে পর্যালোচনা করার বিষয়ে সকলের সম্মতি আদায়ে ব্যর্থ হলো গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় প্যানেল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি (PAC)। অথচ এই কমিটিই (Public Accounts Committee) অতীতে টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির মতো বিষয় তুলে ধরতেও পিছপা হয়নি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ওই সংসদীয় কমিটি যাতে পর্যালোচনা না করে তার জন্যে নাকি উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল বিজেপি। পিএসি কমিটির সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পদক্ষেপ পর্যালোচনা করার আহ্বান জানান। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা চাইছেন করোনা ভাইরাসের সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কোনওরকম কোনও পর্যালোচনা হোক। আর এর জন্যে এই পর্যালোচনা আটকাতে চেষ্টার কসুর করছে না তারা।আর এবিষয়ে বিজেপির সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছেন বিজু জনতা দলের নেতা ভরতুহরি মাহতানি। যদিও অধীর চৌধুরীর প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন ডিএমকে নেতা টি আর বালু সহ বেশ কিছু বিরোধী নেতা।কিছু বিরোধী নেতা এও দাবি করেছেন যে, কোভিড -১৯ মহামারী নিয়ে তদন্ত করতে ভয় পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেননা বিজেপি চায় না প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের উপর কোনওরকম নজরদারি হোক। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মতো জরুরি অবস্থায় ব্যক্তিগত ও বেসরকারি খাতের অনুদানের উপর নির্ভরশীল প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল নিয়ে কোনও পর্যালোচনা হোক তা চায় না তারা। এদিকে দেশে হু-হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৭,১১৪ জন। সব মিলিয়ে ভারতে এই মারণ রোগে (Coronavirus) মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,২০,৯১৬ জনে। একদিনের মধ্যে সারা দেশে ৫১৯ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড- ১৯ (Covid- 19)। ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ২২,১২৩ জনে।এরই মধ্যে ২০২১ সালের আগে যে কোনওভাবেই করোনা টীকা বাজারে আনা সম্ভব নয় তা সংসদীয় কমিটিকে জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক, আইসিএমআর এবং সরকারি তরফে টীকা তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।

