উমর খলিদকে জেরা করতে ১১ লক্ষ পাতার নথি! বেনজির প্রস্তুতি দিল্লি পুলিশের

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: দিল্লি হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রনেতা উমর খলিদকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নিল দিল্লি পুলিশ। তাঁকে জেরা করার জন্যে একটি ১১ লক্ষ পাতার নথি তৈরি করেছে পুলিশ। ২৪ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে উমর খলিদকে।গতকালের ভিডিও শুনানিতে দিল্লি পুলিশ উমরের নানা যুক্তি সাজিয়ে আদালতে জানায়, দিল্লি হিংসার ব্লু প্রিন্ট তারই তৈরি। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্রর অভিযোগ আনা হয়। উমরের উকিল পাল্টা বলেন, দিল্লি হিংসার সময়ে তিনি দিল্লিতেই ছিলেন না।সোমবার উমরের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলে সিপিআইএম। তাদের কথায়, এভাবে সন্ত্রাসবাদ মোবাকিলা আইনে (ইউএপিএ ) উমরকে গ্রেফতার করা আসলে গণতন্ত্রের বহুস্বরকেই রুদ্ধ করা। সিপিআইএম-এর বিবৃতিতে বলা হয়, দুই বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে ঘৃণা ছড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার। অথচ বেছে বেছে তরুণ সিএএ বিরোধিদেরই জেলে ভরছে দিল্লি পুলিশ। যে অভিযোগে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা আইনকে হাতিয়ার করা হচ্ছে তা দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মনগড়া।সিপিআইএম-এর মত, আসলে আগামি দিনে আন্দোলনের কোমর ভেঙে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে ইউএপিএ-এর মতো আইন। যাতে অভিযুক্তর বিচার পেতে বেগ পেতে হয়। এই কারণেই উমরের আগে নতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কালিটার মতো জেএনইউ পড়ুয়াদরও একই ভাবে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন কংগ্রেসের ইশরাত জাহান, জামিয়ার পড়ুয়া মেরিয়ান হায়দার।সিপিএম জোর দিচ্ছে স্বাধীন তদন্তে। তাদের মত, প্রয়োজনে কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে এনে এই মামলার বিচার হোক। প্রসঙ্গত দিল্লি পুলিশের একটি চার্জশিটে দিল্লি হিংসায় জড়িত সন্দেহে এসেছে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সিতারম ইয়েচুরির নামও।

