দেশের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর নিকট আমার কয়েকটি প্রশ্ন ফেমিলি পেনশন প্রাপকরা কেনো বঞ্চিত ?

সত্যজিৎ চক্রবর্তী খবর ২৪: “দ্য স্ট্যাটসম্যান” পত্রিকার প্রাক্তন কর্মী’ আমার লেখাটা শুরু করছি, আমার জীবন কাহিনীর মধ্য দিয়ে, শেষ করবো ফেমিলি পেনশনের দুঃখের কাহিনী দিয়ে।”দ্য স্ট্যাটসম্যান” কাগজে ১৯৭৫ সালে, একজন ট্রেড এপ্রেন্টিস হিসাবে যোগদান করি, ৯ই মার্চ ১৯৭৫ সালে। কোর্স শেষ হবার পর স্থায়ী কর্মী হিসাবে জব ডিপার্টমেন্টে কম্পোজিটার পদে যোগদান করি ১৯৭৯ সালে ১২ই মার্চ।দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার পর, আমাকে ফটো লাইব্রেরি সেকশনে স্থানান্তর করা হয়, ২০০০ সাল, জানুয়ারিতে। সেখান থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেই, ২০০৬ সাল ২৮সে ফেব্রুয়ারী।সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা ও ফটোগ্রাফার হিসাবে দৈনিক, মাসিক, পাক্ষিক, সাপ্তাহিক বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী এবং উড়িয়া কাগজের সঙ্গে এখনও যুক্ত আছি।এবার আসছি আমার ও আমাদের মতো ফেমিলী পেনশন হোল্ডারদের করুন কাহিনীর কথা।তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও, তিনি আমাদের দুঃখের কথা ভেবে ফেমেলী পেনশন প্রথা শুরু করলেন, ১৯৯৫ সালে বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই প্রথা চালু হবার আগে, ১৯৭২ সালে বিগত সরকার বাধ্যতামূলক ফেমেলী পেনশন প্রথা চালু হয়ে যায়। তখন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর P.F. ফান্ডে দেওয়া টাকার ১/২% পেনশন ফান্ডের জন্য জমা রাখা হতো। তখন বলা হয়েছিলো, কর্মী অবসর গ্রহণ করার পর সর্ব নিম্ন ৬৫০/- মাসিক পাবে উর্ধ সীমার কথা বলা হয়নি।আসছি নরসিংহ রাও রাজত্বের কথায়, তিনি নানা ঘাত প্রতিঘাতের পর পাশ করলেন বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর্মচারীর দেয় টাকা সম্পূর্ণটাই পিএফ ফান্ডে জমা পড়বে কিন্তু মালিক পক্ষের টাকার ৮৩% ফেমিলী পেনশন ফান্ডে সুদসহ জমা পড়বে। সুযোগ সুবিধা কি থাকবে, পেনশন হোল্ডার জীবিত থাকা কালিন যে পেনশন পাবে তার অর্ধেক স্ত্রী পাবে, নাবালক ছেলে পাবে মায়ের অর্ধেক প্রাপ্য টাকার। আমার দুই মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন আমাদের কাছ থেকে পিএফ পান্ডের টাকা ফেমিলি পেনশন ফান্ডে জমা পড়লো, কয়েক হাজার লক্ষ টাকা। আমাদের ভিক্ষা হিসাবে অবসর নেবার পর সর্ব নিম্ন ৬৫০/- টাকা সর্বোচ্চ কত জানানো হয়নি। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত ম্যারাথন দৌড়ে দুইবার বেড়েছে তার মধ্যে একবার সর্ব নিম্ন ১০০০/- তা কি নিয়মে বেড়েছে, সেটা আমি এবং আমর মত কেহ সঠিক জানেনা। আমি ২০০৬ সালে, ২৮সে ফেব্রুয়ারী স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করি। অবসরের পরের মাস থেকে ১২৬৩/- মাসিক হারে পেতাম। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১৪৪৮/- টাকা।এই বাড়তি টাকাটা বিভাবে বাড়লো কি বেশিকে বাড়লো আমার ব্যাংক ইউবিআই জানাতে পারলোনা। এদিকে শোনাগেল, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে, লোকসভার অধিবেশনে ফেমিলি পেনশন প্রাপকদের মাসিক পেনশনের হার বাড়ানো যায় সেই নিয়ে আলোচনা হবে, আলোচনা দুরের কথা সংসদ মন্ত্রীরা একটা কথাও উচ্চারণ করলোনা, যথারীতি নির্বাচন হয়ে গেল, পুনরায় আবার বিজেপি ক্ষমতা দখল ও প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র দামোদর মোদী।ধরে নেওয়া যাক ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন মাসে পর্যন্ত এই দীর্ঘ ২৫ বছরের ম্যারাথন দৌড়ে আমার পেনশন বাড়লো ১২৬৩-১৪৪৮=১৮৫/- টাকা। মাত্র দুবার বাড়লো সেটা কবে কি বেশিকে বাড়ানো হয়েছে তা অধরা রয়ে গেল। এবার আমি এবং আমাদের মত অভাগা পেনশন হোল্ডারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই, আমরা কি বাজারে জিনিসপত্র কিছু কিনিনা। এদিকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মী, কলেজের শিক্ষক থেকে আরম্ভ করে সকল স্তরের পেনশন ভোগীরা দেশ ও রাজ্যের দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হলে মহার্গ ভাতা হিসাবে একটা % বাড়ে তবে ফেমিলি পেনশন প্রাপকরা কেন বঞ্চিত হচ্ছে জবাব দিন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। আপনারা সরকারি কর্মীদের সরকারি কোষাগার থেকে টাকা দেন অথচ আমাদের পিএফ ফান্ডে জমা দেওয়া ৮৩% টাকা ফেমিলি পেনশন ফান্ডে জমা করে নিয়েছেন তবে কেনো সরকারি হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ার সুযোগটা পাবোনা জবাব দিন সরকার বাহাদুর।আমি ও আমার মত কয়েকশ লক্ষ ফেমিলী পেনশন প্রাপকরা কোনো কারখানা অফিস কাছাড়ির শ্রমিক, বা অন্য কোনো পদে কাজ করেছে, এক অর্থে আমরা শ্রমিকের পর্যায়ে পরি, কিন্তু কোনো ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা আমাদের জন্য একটিও বাক্য ব্যয় করেনি অথবা সরকারের কাছে আমাদের জন্য কোনো রকম দাবি করেনি। রাজনৈতিক নেতারা ভোটের আগে পথে, ঘাটে, বাড়িতে গিয়ে হাত জোড় করে আমার ও আমার পরিবারের কাছে একটা ভোটের জন্য কাকুতি-মিনতি করেন। ভোটে জিতে গেলে আমাদের কথা তারাও ভুলে যায়। কোনো দিন আমাদের জন্য কোনো সভা-সমাবেশ করেনি। তাদের কাছেও আমরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যর মত। এই রাজনৈতিক নেতাদের আমাদের জন্য ভাবার উচিৎ ছিলোনা কি ?

