ডাঃ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও যুব কেন্দ্র মৌলালিতে বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস পাম করলো

সত্যজিৎ চক্রবর্তী খবর ২৪ : গত ৩১ শে মে ২০১৯, আইডিএ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার মুখ্য সঞ্চালনায় মহাসাড়ম্বরে ডাঃ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও রাজ্য যুবকেন্দ্র, মৌলালিতে পালিত হলো বিশ্ব।’তামাকবর্জন দিবস’। সহ আয়োজক হিসাবে ছিলো নারায়না সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল ও কলকাতা পৌর সংস্থা। মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত জনাব ফিরহাদ ববি হাকিম (পৌর-পিতা ও পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, দমকল আপৎকালীন পরিষেবা)। অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক। প্রখ্যাত গায়ক অনিন্দ্য রায়ও উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় মহামান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ জনক রাজ সবরওয়াল, (সর্বভারতীয় সভাপতি, আইডিএ), ডাঃ সঞ্জয় যোশী (যুগ্ম সভাপতি আইডিএ জাতীয় শাখা), ডাঃ তপন কুমার গিরি (অধ্যক্ষ, ডাঃ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল), ক্যাপ্টেন ডাঃ দেবাশিস হালদার, ডাঃ রাজু বিশ্বাস (সম্পাদক , আইডিএ রাজ্য শাখা), ডাঃ সৌরভ দত্ত, ডাঃ তীর্থঙ্কর দেবনাথ, ডাঃ পার্থপ্রতিম চৌধুরী। বিগত দুদিন ধরে ডাঃ আর আহমেদ ডেন্টাল হাসপাতালে তামাক বর্জন অভিযান চলেছে। এছাড়াও ৩০ শে মে আইডিএ কোলকাতা এবং সাব-আরবান শাখায় আয়োজিত হয়েছে মুখের ক্যান্সার বিষয়ক এক সেমিনার। আলোচিত হয়েছে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে, সাধারণ মানুষকে তামাক বর্জনের উপকারিতা নিয়ে সচেতন করাই ছিলো মূল লক্ষ্য। জনমানসে বার্তা পৌঁছানোর জন্য। একটি ট্যাবলো ভ্যানের মাধ্যমে প্রচারপর্বও সারা হয়। সেটি ডাঃ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ থেকে উদ্বোধিত হয়ে যাত্রা শুরু করে। একসপ্তাহ ধরে দুরদূরান্তে প্রচার চালানো হবে। বিশ্ব তামাকবর্জন দিবসের শুভপ্রারম্ভে ধুমপান ব্যতীত তামাক বিষয়ক এক সেমিনার আয়োজিত হয়। সিডিই প্রোগ্রামের এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ডাঃ হীরা আর। তামাক বর্জনের বিভিন্ন পদ্ধতি এবং সেগুলোকে কেমনভাবে মানিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেবিষয়ে আলোচনা করেন।এবিষয়ে আইডিএ রাজ্যশাখার সম্পাদক ডাঃ রাজু বিশ্বাস বলেন “তামাকের ব্যবহার এই প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়। বিশেষত শহুরে জীবনযাত্রায় এবং কিশোরদের মধ্যে এর প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। তামাক বর্জন কোনো অবিশ্বাস্য কিছু কাজ নয় ; দরকার অনুপ্রেরণা এবং দীর্ঘ পরামর্শ। আমি সবাইকে এই দিনে আহ্বান জানাচ্ছি, প্রত্যেকের সদিচ্ছাকে সাথে নিয়ে আমরা এরাজ্যকে তামাক বর্জিত রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলবই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা এক সুস্থ পরিবেশ উপহার দিতে পারি।”

