সীমান্তে শান্তি না ফিরলে বাণিজ্যও বন্ধ, আজ চিনকে জানিয়ে দেবে ভারত

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: মেট্রো চলাচল শুরু হলে বোঝা যাবে মানুষ কীভাবে যাতায়াত করছেন। প্রথম কলকাতা মেট্রোতেই আনা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যম। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে যাত্রী পরিষেবা দিলে কী হাল হতে পারে তা ভাল করে বুঝে নিতে চাইছে রেল। মেট্রোর পরিস্থিতি দেখেই আগামী দিনে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পূর্ব রেল।পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা জানিয়েছেন, মেট্রোর যাত্রী সংখ্যার সাথে লোকাল ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যার তুলনা চলতে পারে না। তাছাড়া হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদা ডিভিশনের মতো ওপেন লাইন হওয়ায় সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। কারণ, স্টেশনে একাধিক ঢোকা বেরনোর রাস্তা আছে। বহু জায়গায় নির্দিষ্ট কোনও রাস্তা নেই। এই সব জায়গায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ তাই ভীষণ কষ্টসাধ্য। ফলে মেট্রোতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখে তার পরেই রাজ্যের সাথে কথা বলে পূর্ব রেল দুরত্ব বিধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তার পরেই ঠিক হবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হবে কবে থেকে।মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যে পুনরায় চালু করা হোক রেল পরিষেবা। লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা চালু করতে চায় রাজ্য৷ যদিও রেল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, মৌখিক ভাবে নয়, রাজ্যকে লিখিত ভাবে জানতে হবে, তারা পুনরায় পরিষেবা চালু করতে চায়। কারণ রেল পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গোটা দেশ জুড়েই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অবশেষে রেল মন্ত্রকের কাছে পুনরায় পরিষেবা চালু করতে চেয়ে চিঠি দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চালু করা হোক রেল।প্রাক্তন রেল আধিকারিক সুভাষ রঞ্জন ঠাকুরের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার বলছেন রাজ্য সরকার চাইলে লোকাল ও মেট্রো রেল চালানোর কথা ভাবা যাবে।মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘দূরত্ববিধি মেনে এক চতুর্থাংশ ট্রেন চললে রাজ্যের আপত্তি নেই। সরকারী ভাষা যদি কিছুটা বুঝে থাকি তবে এখন ট্রেন চলাচল শুরু হওয়া মুশকিল। কারণ রেল কর্তৃপক্ষ বলবেন রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে জানাতে হবে তাঁরা ট্রেন শুরু করতে চান। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা সরকারী ভাবে চাওয়া নয়। তা ছাড়া হয়তো আপত্তি নেই কথাটা ট্রেন চালানো শুরু করতে বলা বলে ধরা হবে কিনা সন্দেহ আছে।তারপর দূরত্ববিধি। যদি ট্রেনে সবাইকে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয় তবে কোনোমতেই তা মেনে চলা সম্ভব নয়। কম ট্রেন লকডাউন আগের দিনের বাজারের মত । ভিড়ে ঠাসাঠাসি হবে। দূরত্ববিধি শিকেয় উঠবে। রেল কর্তৃপক্ষের এমন পরিকাঠামো নেই যে দূরত্ববিধি মানা এমনকি মাস্ক পরা আবশ্যিক করতে পারে। এমনিতেই বহু লোক মাস্ক পরেন না বা পরলেও থুতনিতে নামিয়ে রেখে দেন।ট্রেনেও তাই হবে। তাই প্রথমে বিশেষ পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার । রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীরা, সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুরসভা , ব্যাঙ্ক ,সাংবাদিক ও অন্যান্য জরুরী কর্মীদের পরিচয়পত্র দেখালে তবেই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে। কারা জরুরী কর্মী সেটা ও কত ট্রেন কিভাবে চলবে ঠিক করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের মিটিং করা দরকার। রেল কর্তৃপক্ষ যদি আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোন সাহায্য চান সেটাও আলোচনা হোক। সবগুলো বিষয়ে সুষ্ঠু আলোচনা ছাড়াই ট্রেন চালানো ঠিক হবে বলে মনে করি না। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। কেউ শুনতে নাও পারেন। বিশেষজ্ঞ ও নেতারা যা ভাববেন তাই হবে।অনেকদিন শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগে কাজ করেছি তো। তাই চুপ করে থাকতে পারলাম না।মার্জনা করবেন।’’

