কৃষি বিলগুলি ২১ শতকের ভারতের প্রয়োজন, বিরোধীরা কৃষকদের মিথ্যে কথা বলছেন: মোদি

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: প্রস্তাবিত কৃষি বিলগুলি নিয়ে যখন উত্তাল সংসদ, কৃষকরা দেশজুড়ে আন্দোলন করছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছেন প্রতিবাদে, তখন বিলের স্বপক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য, এই বিলগুলি ঐতিহাসিক৷ দেশের কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অত্যন্ত জরুরি এই বিলগুলি৷ বিরোধীদের একহাত নিয়ে মোদি বলেন, নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে যাবে বলে কিছু মানুষ ভয় পাচ্ছে৷ তাই কৃষকদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছে৷মোদির কথায়, ‘কৃষি ক্ষেত্রে এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনে কিছু মানুষ ভয় পাচ্ছেন, ক্ষমতা হাতের বাইরে চলে যাবে৷ তাই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে চাষিদের ভুল পথে চালিত করছে৷’ বিহারে একটি জাতীয় সড়কের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় কৃষি বিল ইস্যুতে একথা বলেন মোদি৷কৃষি মণ্ডি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫-৬ বছরে, সরকার ক্রমাগত চেষ্টা করেছে কৃষি মণ্ডিকে আরও উন্নত ও অত্যাধুনিক করার৷ তার জন্য কম্পিউটারাইজেশন করা হয়েছে মণ্ডিগুলির৷ যারা বলছে, কৃষি ক্ষেত্রে নয়া সংস্কারে কৃষি মণ্ডিগুলি বিপদের মুখে পড়বে, তারা কৃষকদের মিথ্যে কথা বলছে৷ কৃষকদের হাত বাঁধা৷ তাই কৃষকদের দুর্বলতার সুযোগ নেয় কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ৷ তাই এই বিল আনা জরুরি ছিল৷’ফার্মার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) বিল ২০২০ ও ফার্মার্স এগ্রিমেন্ট অফ প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস বিল, ২০২০ প্রবল অশান্তির মধ্যে রবিবার রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে৷ লোকসভা তার আগেই পাশ হয়েছিল৷প্রতিবাদে সরব চাষিরা জানাচ্ছেন, এই তিন বিলের ফলে দেশের কৃষিব্যবস্থা কর্পোরেটদের কুক্ষীগত হয়ে যাবে৷ আর্থিক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে চাষিরা৷ অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটির জাতীয় আহ্বায়ক ভিএম সিংয়ের কথায়, ‘আমরা দেশজুড়ে সব কৃষককে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছি৷ সরকার দাবি করছে, এই বিলগুলির জন্য কৃষকরা খুশি, কিন্তু আসলে আমরা ভয়ে রয়েছি, এখন যাও বা একটু নূন্যতম সহায়ক মূল্য পাই, এ বার তাও জুটবে না৷ কৃষি ব্যবস্থাটাই কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে৷’