ঘুমের সময়েও সঙ্গী ফুটবল, রাজ‍্যে ফুটবলের প্রচারে আইএফএ-র মুখ একরত্তি দিয়েগো

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: দক্ষিণের দেশপ্রিয় পার্ক কিংবা ঢাকুরিয়া। উত্তরে চাঁদনী চক হোক বা গিরিশ পার্ক। মাথা তুললেই বাংলার ফুটবলের ঝলমলে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং। সৌজন্যে রাজ্যের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ। করোনা আবহে ফুটবলকে নিউ নর্মালে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের। চমকের এখানেই শেষ নয়। আইএফএ-র ফুটবল বিজ্ঞাপনে বল হাতে ফুটফুটে একটি বাচ্চা। বয়স বড় জোর বছর তিনেক। নাম দিয়েগো।কিন্তু কে এই দিয়েগো? স্প‍্যানিশ বা ইতালিয়ান নন। রিষড়ার ছেলে দিয়েগো। একরত্তি দিয়েগো এখন বাংলার ফুটবলের বিজ্ঞাপনের মুখ। বাবা শতদ্রু দত্ত বরাবরই ফুটবলপ্রেমী, ক্রীড়া উদ্যোগপতি। পেলে, মারাদোনা, ভালদেরামার মতো তারকাদের এই শহর কাছে পেয়েছে শতদ্রুর হাত ধরেই। ফুটবলের প্রতি অমোঘ টান থেকেই ছেলের নাম রেখেছিলেন দিয়েগো। ছেলেকে ফুটবলার বানাতেও চেষ্টায় খামতি নেই স্পোর্টস এন্ট্রেপ্রেনিউর শতদ্রুর। একরত্তি দিয়েগোর জন্য বাড়ির ছাদেই বানিয়ে দিয়েছেন কৃত্রিম ঘাসের মাঠ। অনুশীলনের যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামও হাজির। যে বয়সে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা অ,আ শেখে, ছোট্ট দিয়েগোর সেই বয়সে হাতে-খড়ির বদলে পায়ে-খড়ি হয়েছে। অর্থাৎ খাতা, পেন্সিলেরও আগে দিয়েগোর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বুট, জার্সি, ফুটবল।বয়স মাত্র তিন বছর। কিন্তু এখন থেকেই বল নিয়ে দু’বেলা ড্রিল দিয়েগোর রোজের রুটিনে। সঙ্গী বাবা শতদ্রু ও মা ইন্দ্রানী। আজকের দিনে ব্যতিক্রমী বাবা-মা। গণেশ চতুর্থীতে দিয়েগোর পায়ে-খড়ির দিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হোসে রামিরেজ ব‍্যারেটো, শিল্টন পাল, শিশির ঘোষ, আলভিটো ডি’কুনহা, মনোজ তিওয়ারিদের মত প্রথম সারির ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা। ফুটবল পাগল বাবার স্নেহের আগলে বেড়ে উঠছে দিয়েগো। বাবার কোলে চেপে এই বয়সেই সাক্ষী থাকা হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ফুটবল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের গ্যালারিতে।শতদ্রু বলছিলেন,”ফুটবলের প্রতি টান বাড়াতে রাতে ঘুমানোর সময়েও পাশে ফুটবল রেখে দেওয়া হয়। মারাদোনা, ভালদেরামা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোলে চেপে বড় হবার কিছু তো প্রভাব পড়বে।” সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চোখ ধাঁধানো ফুটবল স্কিল দেখিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন ইরানের ৬ বছরের শিশু আরাত হোসাইনি। রিষড়ার দিয়েগো হয়তো একইভাবে একদিন প্রশংসা কুড়োবে ফুটবল দুনিয়ায়। খুদে প্রতিভাকে রাজ্য ফুটবলের মুখ করতে তাই ভুল করেননি আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের জহুরী চোখ।