পুজো মণ্ডপে NO ENTRY বজায় থাকল, রায়ে সামান্য পরিবর্তন করল হাইকোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: দুর্গা পুজোয় মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না সাধারণ দর্শক৷ জারি থাকছে ‘নো এন্ট্রি’ সংক্রান্ত নির্দেশও৷ ফের জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ তবে এদিন গত ১৯ অক্টোবর, সোমবারের দেওয়া রায়ে অল্প পরিবর্তন করেছে আদালত৷ ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে মণ্ডপের ভিতরে পুজোর উদ্যোক্তা এবং পুজোর রীতি আচার পালনের সঙ্গে যুক্তদের প্রবেশাধিকারে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে৷আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, বড় মণ্ডপের (৩০০ বর্গ মিটারের বেশি) ভিতরে পুজোর আয়োজনে যুক্ত সর্বাধিক ৬০ জন একদিনে ঢুকতে পারবেন৷ তবে একসঙ্গে মণ্ডপের ভিতরে ৪৫ জনের বেশি থাকতে পারবেন না৷ আর ছোট মণ্ডপের অর্থাৎ ৩০০ বর্গ মিটারের কম মণ্ডপের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫ জন একদিনে মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি থাকতে পারবেন না৷ তবে পুজো মণ্ডপের ভিতরে ঢাকিদের থাকার ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে আদালত৷ তবে তাঁদেরও মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে৷ হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুজোর আয়োজনে করোনা বিধি মানতেই হবে৷গত সোমবার ১৯ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, মণ্ডপের ভিতরে পুজো কমিটির পক্ষে কারা থাকবেন, তার তালিকা আগে থেকে টাঙিয়ে দিতে হবে৷ সেই নামের তালিকায় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না বলেও জানিয়েছিল আদালত৷ এ দিন অবশ্য বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ছোট এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে এই নামের তালিকায় পরিবর্তন করতে পারবেন পুজো উদ্যোক্তারা৷ এই সামান্য পরিবর্তনগুলি বাদ দিলে আগের রায়ই কার্যত বহাল রেখেছে হাইকোর্ট৷ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষে যে আবেদনগুলি করা হয়েছিল, তার অধিকাংশই এ দিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷ আবেদন মণ্ডপের ভিতরে ১০০ জনকে থাকার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল৷ স্থানীয়দের প্রবেশাধিকারও চাওয়া হয়৷ মণ্ডপে প্রবেশ এবং বেরনোর আলাদা পথ থাকবে বলেও পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে আদালতে জানানো হয়৷ সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী পুজোয় আগ্রহীদের মণ্ডপের ভিতরে থাকতে দেওয়ারও অনমুতি চাওয়া হয়েছিল ফোরামের তরফে৷ যদিও এই সমস্ত আবেদনে বিশেষ সাড়া দেয়নি আদালত৷ পাশাপাশি মণ্ডপের ভিতরে অঞ্জলি দেওয়া, সিঁদুরখেলাও যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত৷