সীমান্তে শান্তি না ফিরলে বাণিজ্যও বন্ধ, আজ চিনকে জানিয়ে দেবে ভারত

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: সীমান্তে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত কোনও বাণিজ্য নয়৷ আজ মস্কোয় চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ লাদাখে সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই আজ এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর৷ তার আগে তাঁদের একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারার কথা৷আপাতত ভারত- চিনের এই বৈঠকে রাশিয়া মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিচ্ছে না৷ যদিও রাশিয়ার উদ্যোগেই ভারত এবং চিনের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ দিল্লিতে রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত এবং চিন অনুরোধ না করলে তারা এ বিষয়ে নাক গলাবে না৷এ দিনের বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই অবিলম্বে ভারত- চিন সীমান্ত থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়ার দাবি জানাবেন এস জয়শঙ্কর৷ প্রথমে চিন বিপুল সংখ্যক সেনা এবং সমরাস্ত্র জমা করেছিল বলেই ভারতও যে সেই পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে, তাও জানাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী৷ প্রতীকী ছবি৷ একই সঙ্গে চিনকে তিনি বুঝিয়ে দেবেন, গত তিরিশ বছরে সীমান্তে শান্তি থাকার কারণেই চিন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যক সহযোগী হয়ে উঠেছিল৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই বাণিজ্যিক লেনদেন আগের মতোই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷ প্রতীকী ছবি৷তবে চিনের উদ্দেশ্য শান্তি ফেরানো কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷ কারণ একদিকে যখন রাশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে আলোচনার প্রস্তুতি চলছে, তখন গত ২৯ অগাস্ট রাতেই প্যাংগং লেকের দক্ষিণে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় চিনা বাহিনী৷ ৩১ অগাস্ট রাতে ফের একই ধরনের চেষ্টা করা হয়৷ যদিও বিবৃতি প্রকাশ করে পাল্টা ভারতের বিরুদ্ধেই অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনে চিনের সেনাবাহিনী৷ কিন্তু এই সবকিছুকে ছাপিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বাহিনীকে ভয় দেখাতে লাদাখ সীমান্তে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে চিনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে৷ গত চল্লিশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত-চিন সীমান্তে গুলি চলল৷ যার ফলে সীমান্তে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে৷ সীমান্তে এই চরম উত্তেজনার মধ্যেই এ দিন মস্কোয় মুখোমুখি হচ্ছেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী৷

