বাংলাদেশে জন্ম, দিল্লির সবচেয়ে প্রাচীন ভোটার কালীতারা মণ্ডলের বয়স ১১১

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর : নয়াদিল্লি: বয়স ১১১। পড়ে গিয়েছে সব দাঁত। কিন্তু মাছের প্রতি তাঁর ভালবাসা আজও অটুট। তিনি কালীতারা মণ্ডল (Kalitara Mandal)। দিল্লির সবচেয়ে প্রবীণ ভোটার (Oldest Delhi Voter)। শনিবারও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election 2020) ভোট দিতে উৎসুক তিনি। অবিভক্ত ভারতে ১৯০৮ সালে জন্ম কালীতারার। এই উপমহাদেশকে নানা ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে দেখেছেন। দেখেছেন দু’টি দেশভাগ। ভারতে দু’-দু’বার শরণার্থী হিসেবে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে বাসস্থান খুঁজে পেয়েছেন‌ দেশের রাজধানী শহরে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ভোটদানের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ভারতের প্রায় সব ক’টি নির্বাচন দেখা ও তাতে অংশ নেওয়া প্রবীণ এই ভোটদাতা। তাঁর স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সেই অভিজ্ঞতাও।তিনি বলছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি মনে করতে পারি, ওঁরা (নির্বাচনি আধিকারিকরা) আমার আঙুলের ছাপ নিত। তারপর ব্যালট পেপারটা ভাঁজ করে বাক্সে ফেলতে হত। আমি বড় মেশিনেও (ইভিএম) ভোট দিয়েছি।”১৯৭১ সালের দেশভাগের পর থেকে কালীতারার পরিবার দিল্লির চিত্তররঞ্জন পার্কের বাসিন্দা।কালীতারার জন্ম অবিভক্ত ভারতের (অধুনা বাংলাদেশ) বরিশালে বঙ্গভঙ্গের ৩ বছর পরে। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য তাঁর সাত মাসের নাতনি জন্মেছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সাত মাস পর!কালীতারার পুত্র সুখরঞ্জন বলছেন, ‘‘উনি ভোট দিতে বেশ আগ্রহী। গত বছর লোকসভা নির্বাচ‌নের সময়ও বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছিলেন। এবারও হাতে কালি লাগানোর জন্য উৎসুক তিনি।”এক বর্ষীয়ান নির্বাচনি কর্মী জানাচ্ছেন, মণ্ডল পরিবার পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন করলেও তার সময়সীমা ফুরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করেছি ওঁর ও ওঁর পরিবারের জন্য।”কালীতারা মণ্ডলের নাতি সুরজ জানাচ্ছেন, তাঁর ঠাকুমা ভোট দিতে উৎসাহী। তাঁরা ঠাকুমার সঙ্গে সকলে মিলে গিয়ে ভোট দেবেন।সমস্ত ভোটারদের উদ্দেশে শত বর্ষ পেরিয়ে আসা ভোটার বলছেন, ‘‘গণতন্ত্র উন্নতি লাভ করে মানুষের অংশগ্রহণে। সকলের উচিত ভোট দেওয়া, কেননা প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ।”রাজ্যে ১৩২ জন ভোটার রয়েছেন‌ যাঁদের বয়স একশো পেরিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ ও ৬৪ জন মহিলা। এঁদের ভোটের দিন ‘ভিআইপি’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে নির্বাচনি আধিকারিকরা জানিয়েছেন।