BMC-র ভেঙে দেওয়া কঙ্গনার অফিসের মূল্য ৪৮ কোটি, কোনও রাজপ্রাসাদের থেকে কম নয় এই স্টুডিও

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: মুম্বইয়ের পালি হিলসে নার্গিস দত্ত রোডে কঙ্গনার এই অফিস । অফিস বললে কম বলা হয় । বরং বাংলো বা রাজপ্রাসাদ বলাই শ্রেয় ।মুম্বই’কে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত । এর ফলস্বরূপ BMC-র তত্ত্বাবধানে ভেঙে দেওয়া হল বলি নায়িকা, জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ৪৮ কোটি টাকার অফিস । মুম্বইয়ের অভিজাত পল্লিতে এই অফিস ‘মণিকর্ণিকা’র সাফল্যের পর বানান কঙ্গনা । ফলে অফিসের অনেক ইন্টেরিয়রই ‘মণিকর্ণিকা’র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।গোটা অফিসের কোথাও এক টুকরো প্লাস্টিক নেই । পুরোটাই ইকো-ফ্লেন্ডলি সামগ্রী আর অর্গ্যানিক ফেব্রিক দিয়ে তৈরি ।এই অফিসের মধ্যেই রয়েছে কঙ্গনার নিজস্ব স্টুডিও, ওয়ার্কপ্লেস । বেশিরভাগটাই খোলা আকাশের নীচে। অফিসটি তিন তলা। গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে একটি ওপেন স্কাই ক্যাফেটেরিয়া, সেখানে বাইরের যে কেউ এসে বসতে পারেন । কফি খেতে খেতে আড্ডা দিতে পারেন । পাশেই রয়েছে ছোট একটা মন্দির । হনুমানজি’র মূর্তি রয়েছে সেখানে । দ্বিতীয়তলায় রয়েছে কঙ্গনার নিজস্ব ওয়ার্ক স্টেশন । সেখানে বড় একটি ব্যানারে লেখা ‘প্লে দ্য ওয়াইল্ড কার্ড’ । কিছু প্রাইভেট মিটিং রুমসও রয়েছে এখানে ।তিন তলায় রয়েছে একটি খোলামেলা বিশাল মিটিং রুম বা লাউঞ্জ । তথাকথিত মিটিং রুমের মতো নয় এটি । কোনও টেবল-চেয়ার বসানো কর্পোরেট কলফারেন্স রুম নয় এটি । সোফা, খোলা বারান্দা… দারুণ ডেকরেশন রয়েছে এই লাউঞ্জের।অফিসে কঙ্গনার নিজের জন্য রয়েছে একটা ভ্যানিটি রুমও । রয়েছে নিজের ওয়ার্ডরোব । যাতে কখনও প্রয়োজন পড়লে অফিস থেকেও প্রস্তুত হয়ে যেতে পারেন তিনি । চার বছর ধরে নিজের এই প্রোডাকশন হাউজটি তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন কঙ্গনা ।কিন্তু মাঝে তাঁর কিছু ছবি তেমন ব্যবসা করতে না পারায় সেটা বাস্তব রূপ নিতে একটু বেশি সময় লেগেছে তাঁর ।