মাধ্যমিকে সেরা দশে নেই কলকাতা! ৯৯.১৪% নম্বর পেয়ে প্রথম মেমারির অরিত্র পাল!

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউন আবহের মধ্যে জীবনের প্রথম বড় আকাদেমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ নিয়ে আশঙ্কা ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন অসংখ্য পড়ুয়া। ১৩৯ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হল এই বছর। সকাল ১০ টায় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশ করে জানান, সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এই বছর ৮,৪৩,৩০৫। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৬.০৭%। এই বছর পাসের হার ৮৬.৩৪%। মেয়েদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার ৮৩.৪৮%, ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই হার ৮৯.৮৭%! ২০২০ সালে মাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করে কল্যাণময় জানান, মাধ্যমিকে ৭০০ নম্বরের মধ্যে ৬৯৪ পেয়ে অর্থাৎ ৯৯.১৪% নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন মেমারির অরিত্র পাল! যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছেন, বাঁকুড়ার সায়ন্তন গড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের অভীক দাস। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৩ জন। ৬৯০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন কেন্দুয়াডিহির সৌম্য পাঠক, পূর্ব মেদিনীপুরের দেবস্মিতা মহাপাত্র এবং রহড়ার অরিত্র মাইতি। প্রথম ১০-এ রয়েছেন ৮৪ জন, তবে নেই কলকাতার কেউ! পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, আগামী বছরের পরীক্ষা কবে তা নির্ভর করছে করোনা আবহ থেকে কবে রেহাই মিলবে তার উপর।পূর্ব মেদিনীপুর পাসের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে। পাসের হার এইজেলায় ৯৬.৫৯%। পশ্চিম মেদিনীপুরে এই হার ৯২.১৬%। কলকাতায় ৯১.০৭%। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯০.৬০% উত্তর ২৪ পরগনায় ৯০.০৫%, হুগলিতে ৮৮.৫৭%, হাওড়ায় ৮৭.৭৩% পাসের হার। সরকারি ওয়েবসাইট – wbbse.org এবং wbresults.nic.in এ সকাল ১০.৩০ থেকে নিজেদের ফলাফল দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকাঃ
প্রথম: মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ছাত্র অরিত্র পাল। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৪।
দ্বিতীয়: বাঁকুড়ার ওন্দা হাইস্কুলের সায়ন্তন গড়াই, কাটোয়ার কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশন অভীক দাস। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৩।
তৃতীয়: কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের সৌম্য পাঠক। দেবস্মিতা মহাপাত্র এবং রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন হোমের ছাত্র অরিত্র মাইতি। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯০।
চতুর্থ: অগ্নিভ সাহা। বীরভূম জেলা স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৯।

