কথায় বলে মানুষ মানুষের জন্য সে হলো মানব দরদী সঞ্জীব কানজিলাল

সত্যজিৎ চক্রবর্তী খবর ২৪ : কথায় বলে মানুষ মানুষের জন্য। তা আবারও প্রমানিত হলো একটি মানবাধিকার সংস্হার কর্মকান্ড দেখে।এমনই একটি দৃশ্য চোখে পড়লো উওর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়া সংহতিতে। এদিন টুনিঘাটা পিপলস মুভমেন্ট অফ হিউম্যান রাইটস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে হাবড়ার একটি মানবাধিকার সংস্হার সেক্রেটারি সঞ্জীব কাঞ্জিলালের কাছে ফোন আসে আমপাড়া গ্রামের সলু সরকার নামে এক যুবকের। তার বক্তব্য,দাদা একটি হেল্প করতে হবে,একটি লোক কয়েকদিন সংহতি স্টেশনে পড়ে আছে,দেখার কেউ নেই। ভিক্ষা করছে।এখন ভিষন অসুস্হ। হাসপাতালে নিতে হবে। কথা শুনে বিলম্ব করেনি সঞ্জীব বাবু।সংস্হার এক সদস্য শান্তানু কে সঙ্গে নিয়ে বাইকে ছুটলেন সংহতি স্টেশনে। খুঁজে ফেরে শত মানুষের ভিড়ে। বৃদ্ধের কাছে জানা যায়, তাঁর নাম স্বপন দাস( ৭২) বাড়িতে এক ছেলে ও মেয়ে। ছেলে ভবঘুরে,তেমন কিছুই করেনা। তাই মেয়ের কাছেই থাকতেন তিনি।কিন্তু পারিবারিক অভাব থাকায় থাকতে পারেননি বছর ৭২ এর স্বপন দাস । কিছুদিন এক নাতির বাড়িতেও কাটিয়েছেন বলে জানান তিনি।বলতে বলতে কিছুটা অসুস্থ বোধ করেন তিনি।পায়ে কোথাও কোথাও খত হয়েছে,বুকে যন্ত্রণা ও হয় কখনো কখনো,আবার মাজায়ও চোট। নিমেষেই সংস্হার সেক্রেটারি বাইকে নিয়ে ছোটেন হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। ওখানে চিকিৎসা করানো হয় তাকে।পরিস্হিতি ভালো হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় বৃদ্ধ স্বপন বাবুকে।সংস্হার পক্ষ থেকে খাওয়ানো হয় তাকে।এদিকে যোগাযোগ করা হয়। যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে। এবিষয়ে ছল ছল করা চোখে বৃদ্ধ স্বপন দাস জানান,কোন দিন ভাবিনি উপরওয়ালা এভাবে এনাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।সারাদিনে কিছু খাইনি, ওনাদের জন্য খেতে পারলাম।ঈশ্বরের কাছে কামনা করি ওনাদের ভালো রাখুক।বলতে বলতেই চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিল। পরে পরিবারের হাতে এই বৃদ্ধ কে তুলে দেওয়া হয়।এবিষয়ে মানবাধিকার সংস্হার সেক্রেটারি সঞ্জীব কাঞ্জিলাল জানান, একাজে সামিল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আসা করছি আমাদের মতো অসুস্থ মানুষকে দূরে সরিয়ে না দিয়ে, মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন, সেই আশা রাখি।