মিটমাটের চেষ্টায় উদ্যোগী শচীন-কংগ্রেস, তৎপর গান্ধিদের দূত রণদীপ সূরজেওয়ালা

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: আমি এখন কংগ্রেসেই আছি। বুধবার সকালে এনডিটিভিকে অবস্থান জানিয়েছিলেন শচীন পাইলট (Sachin Pilot on Congress)। কিন্তু দলীয় তরফে তাঁর বিরুদ্ধে আরও শাস্তির খাঁড়া এখনও ঝুলছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এদিন তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে না। মঙ্গলবারই শচীন পাইলটের বিদ্রোহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁকে জোড়া সাজা দেওয়া হয়েছিল। কাড়া হয়েছিল তাঁর উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব। অপসারিত করা হয়েছিল রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে। এবার শচীন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিধায়ক পদ কাড়তে তোড়জোড় শুরু করল কংগ্রেস (Congress over Sachin’s fate) হাইকমান্ডের তরফে রাজস্থানের পর্যবেক্ষক অবিনাশ পাণ্ডে লেখেন, “শচীনের জন্য কংগ্রেসে এখনও দরজা খোলা। নিজের ভুল উনি বুঝতে পেরেছেন এবং বিজেপির (BJP) ছল অতিক্রম করতে পেরেছেন।”এদিকে, রাজস্থানে প্রবীণ বনাম নবীন দ্বন্দ্বে সোমবার পর্যন্ত বেশ চাপে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কারণ শচীন পাইলট শিবিরের দাবি ছিল, তাদের সঙ্গে ৩০ জন বিধায়ক আছে। ফলে রাজ্য সরকারের পতন অনিবার্য। এই আশঙ্কা যখন দানা বাঁধছে, তখন পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই বৈঠকে প্রায় ১১০ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা দেখান। জানা গিয়েছিল, মাত্র ১০ জন বিধায়ক শচীন-পন্থী। এতেই ফের তেড়েফুঁড়ে নামে গেহলট শিবির। রাজস্থান কংগ্রেসের তরফে হাইকমান্ডের কাছে বার্তা যায় মরুরাজ্যে নিরাপদ গেহলট সরকার। তারপরেই শচীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হন সনিয়া-রাহুল।এদিকে, বিদ্রোহ প্রশমন করে ফের শচীনকে মূলস্রোতে ফেরাতে কংগ্রেসের তরফে দূত হিসেবে পাঠানো হয়েছে রণদীপ সূরজেওয়ালাকে। তাঁর কাজে হাইকমান্ড ও শচীনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা।দলের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলতে পারছেন না শচীন পাইলট, তাই ক্রমাগত দল ছাড়ার কথা বলছেন। তবে তাঁর বিজেপি-তে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি আগেও জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। বুধবারও সেই একই কথা এনডিটিভির কাছে স্বীকার করলেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা।তাঁর মতে দলের মধ্যে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই বিজেপি-তে যোগদানের কথাটা বারংবার উঠে আসছে। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, ”আমাকে বিজেপি-র সঙ্গে দেখিয়ে, দলের কাছে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”পাইলট আরও জানিয়েছেন, ”বিজেপি-তে যোগদানের কোনও পরিকল্পনা আমার নেই। বিজেপি-র সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আমি এখনও কংগ্রেসেরই সদস্য।” তিনি আরও বলেন, ”ভবিষ্যতে কী করব, সেটার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।আমার মূল উদ্দেশ হল রাজস্থানের মানুষদের সেবা করা।”

