NEET পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই, ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে জেলা থেকে কলকাতার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: করোনা আবহে নির্বিঘ্নে কলকাতায় সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হল। পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশি ছাত্রছাত্রীরা। প্রশ্নপত্র সহজ হয়েছে এদিন দাবি করেন বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী।রবিবার সারা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও নিট নেওয়া হয়। রাজ্যের মোট ৭৭ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে এই সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার জন্য। তবে রাজ্যজুড়ে ১৮৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হলেও রাজ্যের অনেক জেলাতেই পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়নি। যার জেরে হয়রানির মুখে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ কয়েকটি জেলার পরীক্ষার্থীরা। রবিবারের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতার পরীক্ষাকেন্দ্রে গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১০,০০০ আবার কোনও কোনও পরীক্ষার্থী কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে আসতে হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বাস পরিষেবা থাকলেও গাড়ি ভাড়া করি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত আসাকে নিরাপদ বলে মনে করেছেন অভিভাবক- অভিভাবিকারা। অন্যদিকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক কলকাতার পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে এদিন দেখা গেলেও পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি করা হয়েছিল। কোনও পরীক্ষার্থী এসেছেন কৃষ্ণনগর থেকে আবার কোনো পরীক্ষার্থী মালদা থেকে কেউ আবার বহরমপুর বা সাগর থেকে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র না হওয়ার জেরে কার্যত সমস্যার মুখে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ও। একপ্রকার ক্লান্তি নিয়েই কলকাতার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। কৃষ্ণনগর থেকে আসা এক পরীক্ষার্থী বলেন ” নদীয়া জেলায় কোন পরীক্ষা কেন্দ্র নেই এই মেডিকেল পরীক্ষার জন্য। তাই আমরা ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বেরিয়েছি কলকাতার পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বাড়িতে আসার পর পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এত ক্লান্তি নিয়ে পরীক্ষা কি করে ভালো দেওয়া সম্ভব?।” অন্যদিকে কলকাতাতে মালদা জেলার ও একাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে। অনেক পরীক্ষার্থী আবার গত দু’দিন ধরেই কলকাতাতেই থেকে গেছেন। যার জেরে খাওয়া যাতায়াত মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে গিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতেই।মালদা থেকে আসা এক পরীক্ষার্থী বলেন ” ট্রেন বন্ধ তাই আমরা গাড়ি ভাড়া করে গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতাতে পৌঁছে গেছি। দুদিন হোটেলে ছিলাম। আমাদের থাকা এবং খাবারের জন্য এই প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। পরীক্ষাটা দুমাস বাদে হলেই ভালো হতো।” রবিবার বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী বাস মেট্রো থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া গাড়িকেই বেশি ভরসা করে এসেছেন পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত। কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন শহরতলী বা বিভিন্ন জেলা থেকে বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া করে এসেছিলেন। অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া প্রয়োজনীয়তা ছিল নাকি তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। তথ্য ও ছবি- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর অন্তর দিয়ে দাগ কাটা অংশে ছাত্র-ছাত্রীদের লাইনে দাঁড় করানো,তাপমাত্রা পরীক্ষা করা,হাতে স্যানিটাইজার নেওয়া এবং বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মাস্ক নিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধির ব্যবস্থাপনাতে সন্তুষ্ট ছাত্রছাত্রীরা।

