তদন্তের স্বার্থে বিএমডব্লু-জ্যাগুয়ারে মুম্বইয়ের ইতিউঁতি ঘুরছে বিহার পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা-কাণ্ডে তিনদিন ধরে মুম্বইতে বিহার পুলিশ (Bihar Police at Mumbai)। কিন্তু এই দলের জাঁকজমক (BMW-Jaguar) দেখে বিস্মিত নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার বান্দ্রার এক কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছিলেন বিহারের তদন্তকারী দল। অভিজাত বিএমডব্লু গাড়ি থেকে তাদের নামতে দেখা গিয়েছে। সেই সফরের ভিডিও অনলাইন হতেই বিতর্ক এড়াতে বিহার পুলিশের সেই দলকে অটো-রিক্সায় ফিরতে দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখাণ্ডের বয়ান রেকর্ড করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিল বিহার পুলিশ। এই যাত্রা জ্যাগুয়ারে চেপে সফল করতে দেখা গিয়েছে সেই তদন্তকারী দলকে। বুধবার মুম্বইতে পা রাখার পরেই বান্দ্রা থানায় তদন্তকারীরা যান তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে। থানা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে বাইকে করে হোটেলে ফিরতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু যেন হঠাৎ করেই তাঁর ভক্তদের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটিয়েছে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই জীবনের পথচলা থেমে যায় বলিউডের এই সৌম্যদর্শন অভিনেতার। ১৪ জুন, সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা দেখে প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে করছে পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে গেলেন বলিউডের এই উঠতি অভিনেতা? অনেকেই তাঁর আত্মহত্যার বিষয়টি বিশ্বাস করছেন না। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে বলে মনে করছে সুশান্তের পরিবারও। এবার সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন তাঁর একসময়ের সবচেয়ে কাছের মানুষ অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, সুশান্ত এমন মানুষই নন যিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। পাশাপাশি সুশান্তের মানসিক অবসাদে ভোগার বিষয়টিও মানতে নারাজ অঙ্কিতা।অঙ্কিতা লোখাণ্ডে এবং সুশান্ত সিং রাজপুত প্রায় ৬ বছর ধরে লিভ ইন করতেন। পরে যদিও অঙ্কিতার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতেন না অভিনেতা। তবু এখনও সুশান্তের কথা বলতে গিয়ে অঙ্কিতার চোখে জল আসে। তিনি বলেন, “সুশান্ত আত্মহত্যা করার মতো মানুষই নয়। আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম তখন আমরা অনেক কঠিন পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু ও সবসময় খোশমেজাজেই থাকতো। যতটুকু আমি ওকে জানি, ও কখনোই অবসাদে ভুগতে পারে না। আমি সুশান্তের মতো মানুষ জীবনে আর কখনও দেখিনি, ও নিজেই নিজের স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে পারতো। ওর একটা ডায়েরি ছিল, তার মধ্যে ও ৫ বছরের একটি পরিকল্পনা করেছিল এবং ৫ বছর পর সেটা সব পূরণ করতেও পেরেছিল। যখন ওর সম্পর্কে মানসিক অবসাদে ভোগার কথা ওঠে তখন এটা আমায় খুব কষ্ট দেয়। ও হয়তো কখনো উদাস থাকতে পারে বা রেগে থাকতে পারে কিন্তু অবসাদে ছিল এটা মেনে নিতে পারছি না।”

