প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই মহিলা সহকর্মীকে গুলি করে মারলেন সাব ইন্সপেক্টর! অভিযুক্তেরও আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর : নয়া দিল্লি: প্রেমের সপ্তাহ শুরু হয়ে গেছে, ভ্যালেন্টাইনস ডে আসি-আসি করছে। ঠিক সেই সময় ফের এক প্রেমিকের নৃশংস চেহারার সাক্ষী থাকলেন মানুষ। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক এসআই তাঁর সহকর্মীকে নির্মমভাবে গুলি করে মারলেন। পরে নিজেও আত্মহত্যা করলেন তিনি। এই ঘটনায় ফের একবার শিউরে উঠেছে রাজধানীর মানুষ। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলেই কী তা গভীর বিদ্বেষে পরিণত হয়? উঠে আসছে সেই প্রশ্নও। উত্তর–পশ্চিম দিল্লির রোহিনী মেট্রো স্টেশনে সাব ইন্সপেক্টর প্রীতি অহলাটকে লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁরই সহকর্মী দীপাংশু রাঠি, ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে জানা যায়, দিল্লির রোহিনী অঞ্চলে একই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন প্রীতি ও অভিযুক্ত সহকর্মী দীপাংশু। দু’জনেই ২০১৮ ব্যাচের স্নাতক। দিল্লি পুলিশের কর্মী দীপাংশু অনেকদিন ধরেই মনে মনে ভালবাসতেন প্রীতিকে (Sub Inspector Preeti)। কিছুদিন আগে সেই প্রেমকে পরিণতি দিতে প্রীতিকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন তিনি। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি প্রীতি অহলাট। সেই প্রত্যাখ্যানই দীপাংশুর মনে জন্ম দেয় প্রতিহিংসার, আর তার থেকেই এই খুন (Murder) বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার প্রীতির উপর যখন হামলা চালান দীপাংশু, তখন তিনি কাজ সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন। তখন ঘড়িতে প্রায় রাত সাড়ে ৯টা। মেট্রো থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই ফিরছিলেন প্রীতি, সেই সময়ই দীপাংশু এসে তাঁকে লক্ষ্য করে একটি নয়, পরপর তিনটি গুলি চালান। পুলিশ জানিয়েছে মাথায় তিনটি গুলি লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছে প্রীতির। তারপরেই খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর সহকর্মী দীপাংশু রাঠির বিরুদ্ধে। যদিও জানা যায়, প্রীতিকে হত্যার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন। প্রীতির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রোহিনী জেলার অতিরিক্ত কমিশনার এসডি মিশ্রের জানিয়েছেন, পূর্ব দিল্লির পতপরগঞ্জ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এলাকার থানায় কর্মরত ছিলেন প্রীতি অহলাট। তাঁর বাড়ি হরিয়ানার সোনিপতে। রোহিনীতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন প্রীতি ও অভিযুক্ত সহকর্মী দীপাংশু। অনেকেই এ প্রশ্ন তুলেছেন, তবে কী আগে থেকেই প্রীতি ও দীপাংশুর একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল? কিন্তু বিয়ে করতে রাজি না হওয়াতেই রাগে উন্মাদ হয়ে গিয়ে ওই কাণ্ড করে বলেন দীপাংশু? এই ঘটনায় অনেকগুলি প্রশ্ন উঠে আসছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।

