‘কবে পরীক্ষা ও কবে ফল প্রকাশ, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর ছেড়ে দেওয়া হোক’, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি জুটার

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে হবে। গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকের পর উপাচার্যদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি কবে পরীক্ষা নিতে হবে এবং কবে ফল প্রকাশ করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে উপাচার্যদের।বৈঠকে উপাচার্যদের বলা হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে হবে ও ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে। আর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠন বা জুটা পরীক্ষার দিন কোন ফল প্রকাশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্ব-শাসন দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠনের আবেদন কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং কবে ফল প্রকাশ করতে হবে তা যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সরকারের তরফে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষা নিলেও ফল প্রকাশ করা কার্যত অসম্ভব এদিন চিঠিতে তারা জানিয়েছে অধ্যাপক সংগঠন জুটা।তবে ইউজিসি-র জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করতে হবে। সেই মূল্যায়ন করতে হবে পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমেই। কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে হবে তা নিয়েও পদ্ধতি জানিয়েছিল ইউজিসি। ইউটিসি সেই গাইডলাইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা করলেও শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা না নেওয়ার আবেদন কে কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। তার জেরেই এ রাজ্যে পরীক্ষা নিয়ে ফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বেরনোর আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স ও কলা বিভাগের বেশিরভাগ বিষয়টি মূল্যায়ন করে প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছিল। বিশেষত ইউজিসির গাইডলাইন জারির আগে আগেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরও ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছাত্রীদের কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে তা নিয়ে অ্যাডভাইজারি জারি করে। সেই অ্যাডভাইজারি কে মেনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বেশিরভাগ বিষয় এর ফল প্রকাশ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পর অবশ্য আবারও পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের।

