পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা! এনআইএ’র ১৩,৫০০ পাতার চার্জশিট, মূল চাঁই জৈশ প্রধান

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার ঘটনায় ১৩,৫০০ পাতার চার্জশিট জমা দিল এনআইএ। এই চার্জশিটে জৈশ-ই-মহম্মদকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি নেপথ্যের শিল্পী ছিলেন মাসুদ আজহার এবং তার ভাই রউফ আসগর। এমনটাই উল্লেখ চার্জশিটে। গোটা নাশকতার ছক, অভিযুক্ত ব্যক্তি, তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া সেই চার্জশিটে। মোট ১৯ জন এই নাশকতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। যাদের মধ্যে ৬ জন যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত। ৭ জন গ্রেপ্তার আর বাকি ৬ জন নিখোঁজ। এই ১৯ জনের মধ্যে তিন জন পাকিস্তানি নাগরিক। এই হামলার পর ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। যার বদলা নিতে বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল বায়ুসেনা। এমনটাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে উল্লেখ।এই ঘটনার মূল চক্রী মহম্মদ উমর ফারুক, জৈশ জঙ্গি। উমর, ইব্রাহিম আতাহারের ছেলে। আতাহার কান্দাহার বিমান অপহরণের মূল চক্রী। মাসুদ আজহারের দাদা ইব্রাহিম আতাহার।সেই চার্জশিটে বলা ২০ কেজি আরডিএক্স পাকিস্তান থেকে সাম্বা হয়ে জম্মুতে আনা হয়েছিল। নেপথ্যে ছিল উমর ফারুক। চলতি বছর মার্চে বিশেস বাহিনীর গুলিতে নিহত ফারুক।আদিল আহমেদ দার, এই আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদী সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল।জৈশ কমান্ডার উমর ফারুক পুরো নাশকতা তদারকি করেছে। আইইডি তৈরিতে অন্যদের সাহায্য করেছে। চলতি বছর মার্চে এনকাউন্টারে ফারুক নিহত হয়েছে। সেই অভিযানে জৈশের অপর এক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞও নিহত হয়েছিল।শাকির বশির: ঘাতক গাড়িতে ছিল। কিন্তু ৫০০ মিটার আগে ঝাঁপ দিয়েছিল সেই গাড়ি থেকে। বিস্ফোরক তৈরিতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বশির। নাশকতাস্থলের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ফার্নিচারের দোকান শাকিরের। সেখান থেকেই কনভয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নজরবন্দি করেছে সে। বুদগামের মহম্মদ ইকবাল, সন্ত্রাসবাদীদের সীমান্ত থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছতে গাড়ির সাহায্য দিয়েছিল। ২৫ জুলাই এনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আদিল আহমেদ দার যখন বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে কনভয়ে ঢোকে তখন বিলাল আহমেদের ফোনে সেই দৃশ্য রেকর্ড করা হয়েছিল।অন্য অভিযুক্ত আব্বাস, তারিক আহমেদ-ইনশা জান। এর প্রত্যেকেই জইশ সন্ত্রাসবাদী।

