রনজয় রায় (রনি) আর আমাদের মধ্যে নেই, তার মিষ্টি হাসি শুনতে পাবনা

সত্যজিৎ চক্রবর্তী : শুক্রবার, ২৪সে এপ্রিল, রানজয় (রনি) হলো বিজয় রায়ে, বিএফজের প্রাক্তন সভাপতির সুযোগ্য পুত্র আমার পরিচয় হয় আলোকপাত ও মনোরমা ম্যাগাজিনের শুরুতে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ও পরবর্তীকালে আজকাল পত্রিকার সিনিয়র ফটোগ্রাফার ও একটি ইংরেজী সপ্তাহিক ফটো ফ্যাক্ট নিউজের ফটোগ্রাফার ছিলো। পাশাপাশি খেলার ফটোগ্রাফার হিসাবে প্রতিষ্টিত হয়। ওছিলো সদা হাসি-খুসি মুখের ছেলে, ওর কাছে ৮ থেকে ৮০ বছরের মানুষের সমান অধিকার।
আমি দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার থেকে অবসর নেবার পর ওর সঙ্গে আরো ঘনিষ্ট হলাম কারন জানাগেল ও শুধু মাত্র খেলার খবর করেনা, সংস্কৃতিক নিউজ করে। কিন্তু অনধিক ১৭ই বিশ্বকাপে নিউজ কভার করতে গিয়ে আরো অনেক কাছা কাছি পৌঁছে গেলাম। এরপর কলকাতার, লীগ-শিল্ডের মত অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলার মাঠ, ইডেন, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, যুব ভারতী ক্রিরাঙ্গনে দেখা হয়েছে। আমার সঙ্গে বয়সের ফারাক অনেক থাকলেও ওকে কিন্তু মনে করতাম ও আমাকে সমান চোখে দেখতো, এটাই ছিল ওর বিশেষত্ব। ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিচারে বর্ষসেরা চিত্রসংবাদিক হিসাবে পুরস্কৃত হয়। অবশেষে অলিম্পিক কভার করেছে। সেই ছেলেটা আজ আমাদের মধ্যে নেই সেটা ভাবতে শরীরের ভিতরটা কেঁপে ওঠে। রনি তুমি যেখানেই থাকো ঈশ্বর তোমাকে ভালো রাখবে। ঈশ্বরের কাছে পর্থনা করি চির শান্তির।