সমাজের আপদে-বিপদে সকলের পাশে “উন্নয়ন”

অনুপ কুমার বর্ধন খবর ২৪ : প্রবাদে আছে “আপনি আ চরি ধর্ম পরেরে শেখাও”। সমগ্র বিশ্ব জনগণের কথা বলে, অর্থাৎ জনসচেতনতাই মানবতাকে শুদ্ধ করে, পরিত্রাণ দেয়। সেই শুদ্ধকরণের এবং পরিত্রাণের শপথ নিয়েই পথচলা শুরু ২০১৫ সালে। মাত্র ২০ জন স্বহৃদয় বন্ধুকে নিয়ে। বেলঘরিয়া থেকে সোদপুর যেতে রাস্তার ধারে একচিলতে ঘরে মানুষের উন্নয়নে মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়ে তৈরি হয়েছে একটি সংস্থা যার নাম “উন্নয়ন”। বিটি রোডের ধারে এখন শত শত মানুষের নিত্য আনাগোনা। পরিবেশবান্ধব, গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড তাপে জলছত্র, চক্ষু পরীক্ষা শিবির, স্বাস্থ্য শিবির, পুরসভার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় অঞ্চলে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক কৃতী ছাত্রছাত্রীদের বইপত্র প্রদান, সেলাই মেশিন, ভ্যান রিকশা প্রদান। এসবেরই উদ্যোগে যিনি সবার আগে এগিয়ে আসেন তাঁর নাম সন্দীপ দাস।জীবন যুদ্ধে ছোটবেলা থেকে অনেক জোয়ার-ভাটার সাক্ষী, সমাজসেবার অনুপ্রেরণায় বেলঘরিয়ার সর্বজনবিদিত সোমনাথ রায় চৌধুরী ওরফে বাবুদা। “পরিষেবা” শীর্ষক সমাজচেতনায় যিনি সর্বদা ব্রতী। অপরদিকে, স্থানীয় কিছু চিকিৎসক, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী সহ সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ষষ্ঠ প্রজন্মের সশীষ চট্টোপাধ্যায়-এর মতো গুণীজনেরা জড়িয়ে আছেন সন্দীপের সঙ্গে। এই কর্মকান্ডের সাক্ষী রিক্সাচালক কার্তিক বাউলিয়া জানালেন, গত বছর চক্ষু অস্ত্রোপচারের সম্পূর্ণ চিকিৎসার ব্যয়ভার একাই বহন করেছেন সঞ্জীবভাই নিজেই।সারা বছরের সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে ‘উন্নয়ন’ ক্লাবের হয়ে সামাজিক দিনগুলিতে (স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, রাখিপূর্ণিমা, ভাতৃদ্বিতীয়া, পরিবেশ দিবস) উদযাপন করা হয়। রবীন্দ্র অনুরাগী সন্দীপবাবু যেকোন অনুষ্ঠানেই রবীন্দ্র সংগীত শোনানোর ব্যবস্থা করেন। ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে সন্দীপের নাম কামারহাটি তথা বেলঘরিয়ার অঞ্চলে ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হিসেবে খুবই পরিচিত। দিনরাত নিত্যদিনের এহেন সমাজকর্মী পদে নয়, মানুষের আপদে-বিপদে সর্বদাই পাশে থাকেন বলে জানালেন এলাকাবাসী।