‘ইস্তফা দিন যোগী, জারি হোক রাষ্ট্রপতির শাসন’, ধর্ষণের প্রতিবাদে একজোট বিরোধীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: হাতরাস কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা দেশ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে তদন্তের বিষয়ে জোর দিয়েছে। নানা আশ্বাসও দিয়েছে আদিত্যনাথ সরকার। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভিজছে না। ইতিমধ্যেই আদিত্যনাথের ইস্তফা চেয়ে সরব সব পক্ষ। সূত্রের খবর, হাতরাসে মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ও রাহুল গান্ধি। পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে হাতরাসে। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে দিয়েছে এলাকার সমস্ত সীমানা।উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণ কাণ্ডের আঁচ এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও। এদিন কংগ্রেস, বাম, ভীম রাও আর্মির সদস্যরা জোট বেধে প্রতিবাদ করেন নয়াদিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন ও ইন্ডিয়া গেটের সামনে। সেখান থেকে ৩২ জন জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।যোগী সরকারকে একহাত নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি একটি ভার্চুয়াল বিবৃতিতে বলেন, “আপনি প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন? এক ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার?একজন মা তাঁর মৃত সন্তানের দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে পারল না। আপনার সরকার কী ভাবে এত অমানবিক হয়?” ট্যুটটারে সরব হনরাহুল গান্ধিও। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। তিনি লেখেন, “বিজেপি সরকার দলিতদের দমিয়ে রাখছে। আমাদের লড়াই এই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে।আসরে নেমেছে বিএসপিও। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলছেন, “হাতরসের ঘটনার পরে আমি ভেবেছিলাম উত্তরপ্রদেশ সরকার এর বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু দেখা গেল বলরামপুরে আরও এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করা হল।” ঝাঁঝ বাড়িয়ে মায়াবতীর আক্রমণ, “আসলে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি সরকার ক্রিমিনাল, মাফিয়া আর ধর্ষকদের খোলামাঠ।”একদিনে সমলোচনার ঝড়, অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন। ব্যকফুটে পড়ে আদিত্যনাথ সরকার সিট গঠন করেছে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্টও দেবে সিট। ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে সেই মামলার শুনানি হবে। ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন যোগী। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। কেন এতদিন লেগে গেল সিট গঠন করতে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কেন নীরব আদিত্যনাথ? আগুনে ঘি ঢেলেছে নির্যাতিতার মায়ের বয়ান। তিনি বলছেন, চোখের দেখা দেখতে না দিয়ে জোর করে পুলিশ দেহ দাহ করে দিয়েছে।এই আবহে মায়াবতী রাষ্ট্রপতির শাসনেরও আর্জি রাখছেন। সকলেই এক বাক্যে মানছেন এ আরেক নির্ভয়া কাণ্ড। এখন দেখার কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন।