স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করোনা সন্দেহভাজনরা দিব্যি ঘুরছেন প্রকাশ্যে

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: নয়া দিল্লি: হু, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্যবিধিকে থোড়াই কেয়ার (Health Advisory)। বিদেশ-বিভুই থেকে ফিরে হোম কোয়ারান্টাইনের বদলে জন সংযোগেই বেশি মত্ত ভারতীয়রা। আর এই তোয়াক্কা না-করার ভাবে সিঁদুরে মেঘ দেখছন চিকিৎসকরা। গত একসপ্তাহে এমন দু’টি ঘটনা ঘুম ছুটিয়েছে মহারাষ্ট্র (Maharastra and West Bengal) ও পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের। মঙ্গলবার মুম্বইতে চার যুবক দিব্যি হাতে গৃহবন্দি (Home quarantine) ছাপ নিয়েও শহর ঘুরলেন লোকাল ট্রেনে চেপে। পাশাপাশি সে দিনই পশ্চিমবঙ্গের এক সরকারি হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছেন লন্ডন ফেরত এক তরুণ। তাঁর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিড-১৯ পজিটিভ (Covid-19)। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। রবিবার সেই তরুণ শহরে পা রেখে পরের দু’দিন একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন। যে তালিকায় ‘প্রভাবশালী’ মায়ের কর্মক্ষেত্র, রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক শপিং মল রয়েছে। ফলে এখন আতঙ্ক, তাঁর সংস্পর্শে কতজন এসেছে! এই দুটি সাম্প্রতিক উদাহরণের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহের প্রথমে ফরিদপুরে ঘটেছে আরও একটা ঘটনা। শহরের এক সরকারি হাসপাতাল থেকে কোয়ারান্টাইন পরিষেবা ভেঙে পালিয়ে গিয়েছেন এক সন্দেহভাজন। ফলে শহর জুড়ে এখন ত্রাহি-ত্রাহি রব। তবে এই ঘটনার জেরে অভিযুক্তদের শাস্তির কোনও নিদান দেওয়া নেই। যে ব্যবস্থা চালু করেছে ইতালি। এদেশে মহামারী আইন লাগু থাকলেও সেভাবে কড়া শাস্তির নিদান নেই। শুধু ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় এক-ছয় মাস জেল, সঙ্গে ২০০-১০০০ টাকার জরিমানা। যা সেই সব উদাসী মানুষের মনে ভয় ধরানোর জন্য খুবই অল্প, বলছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, গত সপ্তাহে আগ্রার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, নিজের মেয়েকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, রেলের কর্মী সেই ব্যক্তির মেয়ে করোনা সংক্রামিত স্বামীকে ফেলে বেঙ্গালুরু থেকে বাবার কাছে চলে এসেছিল। বিভিন্ন দফতর মারফত সেই খবর আগ্রা পুলিশের কাছে গেলে, তারা সেই ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করলেও, পরে সেই বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে আগ্রার এক হাসপাতালের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার জেরে অভিযুক্তদের শাস্তির কোনও নিদান দেওয়া নেই। যে ব্যবস্থা চালু করেছে ইতালি। এদেশে মহামারী আইন লাগু থাকলেও সেভাবে কড়া শাস্তির নিদান নেই। শুধু ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় এক-ছয় মাস জেল, সঙ্গে ২০০-১০০০ টাকার জরিমানা। যা সেই সব উদাসী মানুষের মনে ভয় ধরানোর জন্য খুবই অল্প, বলছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, গত সপ্তাহে আগ্রার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, নিজের মেয়েকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, রেলের কর্মী সেই ব্যক্তির মেয়ে করোনা সংক্রামিত স্বামীকে ফেলে বেঙ্গালুরু থেকে বাবার কাছে চলে এসেছিল। বিভিন্ন দফতর মারফত সেই খবর আগ্রা পুলিশের কাছে গেলে, তারা সেই ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করলেও, পরে সেই বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে আগ্রার এক হাসপাতালের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।