২০৬৮ সালে এই গ্রহাণু মুছে দিতে পারে পৃথিবীর অস্তিত্ব, নাসার তরফে কি জানানো হল ?

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: অ্যাপোফিজ ৯৯৯৪২! সংখ্যাগুলো ন্যাশনাল এরোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে নাসা-র হিসেব কষার সুবিধের জন্য। আমরা শুধু প্রাথমিক ভাবে নজর রাখব নামটার দিকে।আর তাতেই আঁতকে উঠতে হচ্ছে। পুরাণকথা বলে, এই নামের অধিকারী আদতে এক মিশরীয় দেবতা। তিনিই জন্ম দিয়েছিলেন ক্যাওস বা মহাজাগতিক বিশৃঙ্খলার। আকারে এবং রূপে বিশাল এই নাগদেবতা সম্পর্কের দিক থেকে আরেক মিশরীয় দেবতা রা বা সূর্যের ভাই! নাসা বলছে যে দুই ভাইয়ের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বন্ধন না কি এতটুকুও কমেনি! বরং যত দিন যাচ্ছে সেকেন্ডে মিনিটে ঘণ্টার নিরিখে, সেই টান বাড়ছে বই কমছে না!কেন না, মিশরীয় পুরাণকথার উল্লেখের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বিপদসঙ্কেত। নাসা জানিয়েছে যে এই জাতীয় গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে সূর্যের আলোর দ্বারা আকর্ষিত হয়ে। সূর্যের আলোর এক নিজস্ব গতিবেগ আছে। তা আমরা টের পাই না ঠিকই, কিন্তু সৌরজগতের অন্য বাসিন্দারা দিব্যি অনুভব করে থাকে। এই টানের সূত্রকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ইয়ারকোভস্কি অ্যাক্লেরেশন।তো, সেই টানেই আপাতত এই সময়ের অ্যাপোফিজ নতুন করে ক্যাওস বা মহাজাগতিক বিশৃঙ্খলা ঘটানোর লক্ষ্যে সুপ্রস্তুত! সে রয়েছে পৃথিবীর খুব কাছেই, নাসা-র ভাষায় বললে জাতিগত দিক থেকে সে নিয়ার আর্থ অ্যাস্টেরয়েড। ফলে, পৃথিবীর বিপদের আশঙ্কা আছে বই কি!আর সে কথা যখন এই গ্রহাণু ২০০৪ সালে সুবারু টেলিস্কোপে জ্যোতির্বিদ ডেভিড জে টলেন এবং তাঁর দল আবিষ্কার করেছিলেন, সেই সময়েই উল্লেখ করা হয়েছিল। তখন হিসেব বলেছিল যে অ্যাপোফিজ ৯৯৯৪২ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে ২০২৯ সালে।এটা ঠিকই যে ২০২৯ সাল আসতেও এখনও অনেকটাই দেরি! তবে নাসা তাদের সাম্প্রতিক হিসেবের মাধ্যমে নিশ্চিত যে ওই সময়ে এই গ্রহাণু আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে ইউনাইটেড নেশনস পেরিয়ে চলে যাবে। কিন্তু আসল বিপর্যয় ডেকে আনবে ২০৬৮ সাল। কেন না, ওই সময়েই না কি এই গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর তা যদি হয়, তবে পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, আপাতত এ কথা বেশ জোর দিয়েই বলছে নাসা!