টানা ২৭ দিনের যুদ্ধের পরেও অত্যন্ত সঙ্কটজনক সৌমিত্র, থামছে না অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪:খবর ভাল নয় । অবস্থার নূন্যতম উন্নতিও হয়নি প্রিয় অভিনেতার । মাঝে কয়েকদিন শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও ফের সঙ্কটজনক অবস্থায় সৌমিত্র। রবিবার বিকেলের পর থেকেই ফের অবস্থা সঙ্কটজনক হতে থাকে । আজ তাঁর সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি ও তৃতীয়বার ডায়ালিসিস হয়েছে । অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ না থামায় সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা ।বেলভিউ সূত্রে খবর, কোথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা জানতে সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়েছে । যেখানে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেই জায়গায় অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। তবে আপাতত রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছে । কিন্তু প্রবাদপ্রতীম বর্ষীয়ান অভিনেতার অবস্থার কোনও উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না । তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ওঠানামা করছে । রক্ত দেওয়া হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। গত ২৭ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি প্রিয় ‘ফেলুদা’ । কিন্তু চিকিৎসায় অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের মধ্যে ।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকদের ক্রমাগত চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর কোভিড রিলেটেড এনসেফালোপ্যাথি এবং স্নায়বিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় আচ্ছন্ন ভাব কাটেনি সে ভাবে। ফলে, ৮৫ বছরের অভিনেতাকে নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।গত ৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভরতি আছেন ৮৫ বছরের অভিনেতা। একটা সময় তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে দেওয়া হয়েছিল। তারপর অবশ্য তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে । করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল । কিন্তু অবস্থার ফের অবনতি ঘটে গত ২৪ অক্টোবর । করোনা এনসেফ্যালোপ্যাথির সংক্রমণ বেড়েছিল সৌমিত্রের শরীরে । এরপরেই দেশ ও বিদেশের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয় । আগে থেকেই এনসেফালোপ্যাথি-এর জটিল সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন পর্দার ‘অপু’ । পাশাপাশি কমেছিল তাঁর প্লেটলেটের সংখ্যা । ইউরিয়া আর সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। ইমিউনোগ্লোবিন এবং স্টেরয়েড দিয়ে একটা সময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

