চিন আগ্রাসন-সহ তিন বছরের সব তথ্য গায়েব প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে!

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: চিনের একতরফা আগ্রাসন-সহ ওয়েবসাইটে থাকা সমস্ত তথ্যই ওড়াল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এবার সরল ডোকালাম সঙ্কট প্রসঙ্গও।সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঠিক কী কারণে তথ্য সরানো হচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, খুব শিগগিরই আবার সহ তথ্য আবার ওয়েবসাইটে ফিরবে।হয়তো অক্টোবরের মধ্যেই ফের কাজ শুরু করবে ওয়েবসাইট। এবং আরও সঙ্গত ভাবে তালিকা আপগ্রেড করে প্রতিবেদনগুলিকে সামনে আনা হবে।গত ৬ অগাস্ট । পূর্ব লাদাখে চিন সেনার অনুপ্রবেশ তত্ত্বকে যখন কেন্দ্র উড়িয়ে দিচ্ছে, তখনই চিনা আগ্রাসনের কথা উঠে আসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। কী বলা হয়েছিল সেখানে? স্পষ্টই জানানো হয় মে মাসের শুরু থেকেই গালওয়ান উপত্যাকায় বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন দেখিয়েছে। ১৭-১৮ মে কুগং, গাোগরা, প্যাংগং অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার ঘটনাও ঘটে। বলা হয় অন্তত ১৫টি আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে দু’পক্ষের কমান্ডোরদের কথাবার্তার মধ্যে। যদিও এর আগের অর্থাৎ এপ্রিল-মে তে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে আগ্রাসন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান ছিল না। তবে সঙ্কটের কথা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়।এই নথি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই হঠাৎই ওয়েবসাইট থেকে গায়েব হয়ে যায় তথ্য। এদিকে প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দাবি ঘিরেও প্রশ্ন তুলতে থাকে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধির প্রশ্ন ছিল, কেন মিখ্যে বলছেন প্রধানমন্ত্রী? অস্বস্তি বাড়ে মন্ত্রকেরও।গত ১৫ জুন ১৪ নং পেট্রোলিং পয়েন্টে সংঘর্ষে মারা যান ২০ ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে এই আগ্রাসনের কথা অস্বীকার করলেও ওই নথিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ছিল, ছিল পরবর্তী বৈঠক সংক্রান্ত তথ্যও।যদিও প্রথম দিকে তা নজরে আসেনি। তথ্য ফাঁস হতেই আসরে নামেন রাহুল গান্ধি। বলেন, চিন আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে গিয়েছে এই তথ্য অস্বীকার করলে সত্য রাতারাতি বদলে যাবে না।