রেশন নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার !

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪:রেশন নিয়ে কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। যে সব রেশন গ্রাহক মারা গিয়েছেন কিন্তু তাঁদের কার্ড এখনও বহাল আছে, সেই সমস্ত মানুষদের কার্ড এবার বাদ দিতে চলেছে খাদ্য দফতর। এই সমস্ত কার্ডের গ্রাহকদের চিহ্নিত করতে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে তথ্য নিতে চলেছে খাদ্য দফতর।স্বাস্থ্য দফতরের থেকে চাওয়া হবে জেলা ওয়ারি মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকা। সেটা হাতে পেলেই এক দফা ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করে স্বচ্ছতা যাচাই করবে খাদ্য দফতর। তারপর মৃত ব্যক্তিদের কার্ডগুলি অনলাইনে বাতিল করে দেবে তারা। প্রতি মাসে রেশনে তাঁদের জন্য যে খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হতো, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তিদের তালিকা যাতে নিয়মিত পাওয়া যায়, তার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও মৃত ব্যক্তিদের রেশন কার্ড বাতিল করতে সচেষ্ট হয়েছিল খাদ্য দফতর।মৃতদের কার্ড পিছু বরাদ্দ খাদ্যশস্য বন্ধ করতে গত কয়েক মাস ধরেই সক্রিয় খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়মানুযায়ী মৃতের পরিবারের উচিত ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা করা। বহু ক্ষেত্রে রেশন দোকানের উচিত এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো। বহু ক্ষেত্রেই তা কেউই করছেন না, বা করলেও দেরি করেন অনেকটাই । ফলে মৃত্যুর পরেও ওই ব্যক্তির জন্য খাদ্য বরাদ্দ হয়েই চলেছে। এবার এটি বন্ধ করতে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের সাহায্য নিয়ে মৃতদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কারণ ডেথ সার্টিফিকেট তারাই ইস্যু করে।অনেক পুরসভা ও পঞ্চায়েত এখন ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার আগে রেশন কার্ড বাতিল করার নথি চাইছে। কিন্তু সব জায়গায় তা হচ্ছে না বলে জানতে পেরেছে খাদ্য দফতর। আবার অনেক সময় পুরসভা বা পঞ্চায়েতে তা জমা হলেও ঠিক সময়ে সেসব খাদ্য দফতরে তা এসে পৌঁছচ্ছে না। বিশেষ করে গত ৫ মাসে লকডাউনের জন্যে তা আসছে না। তাই এবার অনলাইনেই স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য নিয়ে মৃত রেশন গ্রাহকদের চিহ্নিত করতে চাইছে খাদ্য দফতর। রেশনে ভর্তুকিতে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। লকডাউন পর্বে এখন বিনা পয়সায় চাল-গম দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত এটা চলবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। এই অবস্থায় মৃত ব্যক্তিদের রেশন আটকাতে পারলে অনেকটাই সাশ্রয় হবে সরকারের। তাছাড়া জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে রেশন গ্রাহকের সংখ্যা সব রাজ্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। জনসংখ্যা বাড়লেও রাজ্যের কোটা বাড়েনি। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে আছেন । খাদ্য দফতর মনে করছে, জাতীয় প্রকল্পের উপভোক্তা গ্রাহকদের মৃত্যুর পরও জায়গা ফাঁকা হলে সেখানে নতুন কাউকে ঢোকানোর সুযোগ থাকবে। এতে রাজ্যের যে রেশন প্রকল্প আছে সেখান থেকে গ্রাহকদের অনেককেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আনা যাবে। সেটা করতে পারলে রাজ্য সরকারের কিছুটা হলেও আর্থিক সাশ্রয় হবে।

