এবার মুক্তি! বিনা ভ্যাকসিনেই করোনা রোধের নতুন উপায় সামনে আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা! জানুন…

নিজস্ব সংবাদদাতা খবর ২৪: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে ভ্যাকসিন ছাড়াই করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব! হু ইউরোপের ডিরেক্টরের মতে, জাতীয় পর্যায়ে লকডাউনগুলি সফল হয়নি সেভাবে৷ তবে যে সব জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে লকডাউনের খুব প্রয়োজন। এসব জায়গায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন চালাতে হবে। অন্যদিকে, ইতালির বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, করোনায় আক্রান্ত কোনও রোগীর ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সেরে উঠতে কমপক্ষে ১ মাস সময় লাগছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের রিজিওনাল ডিরেক্টর হান্স ক্লুগ, স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, “অতিমারীর এই কঠিন সময় কাটাচ্ছি আমরা, ঠিকা ছাড়াও এর থেকে মুক্তি সম্ভব৷ আমরা করোনার প্রথম স্পাইক মোটের ওপর কাটিয়েছি৷ আমরা তখনই এটি অতিক্রম করতে সক্ষম হব যখন আমরা অতিমারী নিয়েই বাঁচতে শিখব এবং এটা আমরা করতে পারি”। এবারই প্রশ্ন আসে যে সংক্রমণের পরবর্তী স্পাইক এড়াতে আগামীতে আবারও কি কয়েক মাসের লকডাউন চাপানো হতে পারে? উত্তরে তিনি স্পষ্ট না বলেন। কারণ তাঁর মতে বড় কোনও লকডাউনের প্রয়োজন নেই, তবে স্থানীয় লকডাউনের সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দেননি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন করে করোনাভাইরাসকে ছড়িয়ে দেওয়া থেকে রোধ করা যেতে পারে। অর্থাৎ ব্যাপাকভাবে দেশ জুড়ে লকডাউন না করে ছোট ছোট পর্যায়ে লকডাউনের পক্ষেই মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ এভাবে করোনা ঠেকানো যাতে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷অন্যদিকে ইতালির বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, কোনও করোনায় আক্রান্ত রোগীর পুরোপুরি ভাইরাসের থেকে মুক্তি পেতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগে। সুতরাং, কারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার এক মাস পরেই সেই ব্যক্তির আবার পরীক্ষা করা উচিত। মোডেনার ডাঃ ফ্রান্সিসকো ভেনচুরেলি ও তাঁর সহকর্মীরা এবং ইতালির রেজিও এমিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১১৬২ জন রোগীকে নিয়ে গবেষণা করেন এবং এরপরই ভাইরাসের বিষয়টি জানানো হয়।এই গবেষণায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৫ দিন পর আবার রোগীদের দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল ৷ তৃতীয় বার ১৪ দিনের পরে এবং চতুর্থবার ৯ দিনের পর দেখা যায়, যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছিল তাদের আবার পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে! যাদের আগে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল তাঁদের মধ্যে অনেকের পজিটিভ রিপোর্ট আসে৷ সমীক্ষা অনুসারে, ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত করোনা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে ৩৫ দিন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৩৮ দিন সময় লাগে। এমনই তথ্য সামনে আনছে এই গবেষণা৷এদিকে, নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে রাজধানী কাঠমান্ডু সহ ১২ টি জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই ১২ টি জেলার ৭৩ শতাংশ সক্রিয় করোনা সংক্রমণ রয়েছে। এই জেলাগুলি হল মোড়ং, সুনসারি, ধনুসা, মাহোত্রী, পারসা, বড়, রৌহাত, সরলাহী, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, চিতাব ও রূপনাদেহি। এগুলিকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫২৯ জন নেপালে সংক্রামিত হয়েছে এবং ২৩৯ জন মারা গিয়েছেন।

